২০১৪ সালের রানার্স আর্জেন্টিনা বনাম ২০১৮ সালের রানার্স ক্রোয়েশিয়া। মঙ্গলবার রাতে এবারের বিশ্বকাপের প্রথম সেমি ফাইনাল। লিওনেল মেসির সঙ্গে লুকা মডরিচের লড়াই।
একদিকে আর্জেন্টিনার সামনে ৮ বছর পর ফের বিশ্বকাপ ফাইনালে ওঠার সুযোগ, অন্যদিকে গতবারের রানার্স ক্রোয়েশিয়ার সামনে পরপর ২ বার বিশ্বকাপ ফাইনালে ওঠার বিরল কৃতিত্ব অর্জনের হাতছানি। একদিকে লিওনেল মেসি, অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া, লটারো মার্টিনেজ, এমিলিয়ানো মার্টিনেজ, অন্যদিকে লুকা মডরিচ, ইভান পেরিসিচ। ব্রাজিলকে টাইব্রেকারে হারিয়ে সেমি ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে ক্রোয়েশিয়া। কোয়ার্টার ফাইনালে মেসিরাও জয় পেয়েছেন টাইব্রেকারে। তাঁরা হারিয়ে দিয়েছেন নেদারল্যান্ডসকে। ফলে সেমি ফাইনালে কোনও দলকেই খুব একটা এগিয়ে রাখা যাচ্ছে না। আর্জেন্টিনার সবচেয়ে বড় অস্ত্র অবশ্যই মেসি। তবে আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি প্রথম থেকেই মেসি-নির্ভরতা কাটিয়ে উঠে দলগত খেলার উপর জোর দেওয়ার কথা বলছেন। ক্রোয়েশিয়া দলে মডরিচের মতো ক্লাব ফুটবলে ইউরোপের অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার থাকলেও, দলে সেই অর্থে কোনও তারকা নেই। দলগত শক্তিই ক্রোটদের সবচেয়ে বড় ভরসা। বিশেষ কারও উপর নির্ভরশীল নয় এই দল।
কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখায় সেমি ফাইনালে খেলতে পারবেন না আর্জেন্টিনার রাইট ব্যাক গঞ্জালো মন্টিয়েল ও লেফট ব্যাক মার্কোস অ্যাকুনা। মন্টিয়েল অবশ্য কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথম একাদশে ছিলেন না। ফলে তাঁর না থাকা নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নয় আর্জেন্টিনা শিবির। নেদারল্যান্ডস ম্যাচের মতোই ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধেও প্রথম একাদশে থাকবেন নাহুয়েল মলিনা। লেফট ব্যাক অ্যাকুনা খেলতে না পারায় তাঁর পরিবর্তে প্রথম একাদশে আসবেন নিকোলাস ট্যাগলিয়াফিকো। চোট সারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের শেষদিকে পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন ডি মারিয়া। মিডফিল্ডার আলেজান্দ্রো গোমেজও গোড়ালির চোট সারিয়ে দলে ফেরার লক্ষ্যে তৈরি হচ্ছেন। অপর এক মিডফিল্ডার রডরিগো ডে পলেরও চোট ছিল। তিনিও ফিট হয়ে উঠছেন। ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে ৪-৩-৩ ছকেই খেলবে আর্জেন্টিনা। আক্রমণে মেসির পাশে থাকবেন লটারো ও জুলিয়ান আলভারেজ।
ক্রোয়েশিয়া দলে কারও কার্ড বা চোটের সমস্যা নেই। বোরনা সোসা ও মিস্লাভ ওরসিচের অসুস্থতা ছিল। তবে তাঁরাও এখন ফিট হয়ে গিয়েছেন। ফলে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে পূর্ণ শক্তি নিয়েই ঝাঁপাতে তৈরি ক্রোয়েশিয়া।
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো চোখের জলে এবারের বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছেন। লিওনেল মেসিরও হয়তো এটাই শেষ বিশ্বকাপ। তাঁর হাতেই এবার কাপ দেখতে চাইছেন অনুরাগীরা। আর একটি ধাপ পেরোতে পারলেই বিশ্বকাপ জেতার একদম কাছে পৌঁছে যাবেন মেসি। সেই লক্ষ্যেই মঙ্গলবার মাঠে নামবেন তিনি।
আরও পড়ুন-
মরক্কোর কাছে পর্তুগালের হারের দায় ফেরান্দো স্যান্টোসের, তোপ লুই ফিগোর
তাড়াতাড়ি দেখা হচ্ছে বন্ধু, কিলিয়ান এমবাপেকে বার্তা আশরফ হাকিমির
পেনাল্টি মিস করে কাঠগড়ায় হ্যারি কেন, ইংল্যান্ডকে হারিয়ে সেমি ফাইনালে ফ্রান্স