ইন্ডিয়ান সুপার লিগে বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে প্রথম জয় পেল ইস্টবেঙ্গল। জয় দিয়েই বছর শেষ হল লাল-হলুদের।
কলকাতা ময়দান ফ্রি-কিকে অনেক স্মরণীয় গোল দেখেছে। ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন ফুটবলার দক্ষিণ কোরিয়ার ডো ডং হিউন ২০১৫ সালে কলকাতা ডার্বিতে ফ্রি-কিকে জোড়া গোল করেছিলেন। শুক্রবার ইস্টবেঙ্গলের ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার ক্লেটন সিলভাও ফ্রি-কিকে বিশ্বমানের গোল করে দলকে জেতালেন। ক্লেটনের এই অসাধারণ গোল বহুদিন লাল-হলুদ জনতার স্মৃতিতে থেকে যাবে। ৩৯ মিনিটে ক্লেটনই পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে এগিয়ে দিয়েছিলেন। ৫৫ মিনিটে সেই গোল শোধ করে দেন হাভি হার্নান্ডেজ। এরপর ইস্টবেঙ্গলকে চেপে ধরেছিলেন রয় কৃষ্ণ-সুনীল ছেত্রীরা। লাল-হলিদ গোলকিপার শুভম সেন অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখান। তিনি একাধিক নিশ্চিত গোল বাঁচিয়ে দেন। এরপর ইনজুরি টাইমে বক্সের বাইরে ফ্রি-কিক পায় ইস্টবেঙ্গল। ক্লেটনের ডান পায়ের বিষাক্ত শট বেঙ্গালুরুর গোলকিপার গুরপ্রীত সিং সান্ধুর হাতে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। ক্লেটনের এই গোলই এবারের আইএসএল-এ ঘরের মাঠে ইস্টবেঙ্গলকে প্রথম পয়েন্ট এনে দিল। বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচেও জয় পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। সেই ম্যাচেও গোল করেছিলেন ক্লেটন। ফের বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে গোল করে দলকে জেতালেন লাল-হলুদের ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার।
এদিন বেঙ্গালুরুকে ২-১ গোলে হারিয়ে ১১ ম্য়াচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলে ৮ নম্বরে থাকল ইস্টবেঙ্গল। অন্যদিকে, ইস্টবেঙ্গলের কাছে ফের হেরে ১২ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে ৯ নম্বরে থাকল বেঙ্গালুরু।
এবারের আইএসএল-এ চতুর্থ জয় পেল ইস্টবেঙ্গল। তবে এদিন জয় এলেও, লাল-হলুদের খেলায় কিছু খামতি রয়েই গিয়েছে। সেই সমস্য়াগুলি মেটাতে না পারলে পরপর জয় আসবে না। ক্লেটনের পক্ষ তে আর রোজ এরকম গোল করা সম্ভব নয়। এদিন বেঙ্গালুরু যে গোল করে, তার পিছনে লাল-হলুদ মাঝমাঠ ও রক্ষণের গাফিলতি ছিল। সেন্টার সার্কেলের কাছে বলের দখল হারান ভি পি সুহের। সেই বল ধরে প্রতি-আক্রমণ শুরু করে বেঙ্গালুরু। বক্সের মধ্যে কৃষ্ণ যখন বল ধরেন, তখন তাঁর পাশেই ছিলেন ইভান গঞ্জালেজ। কিন্তু লাল-হলুদের সেন্টার-ব্যাক প্রতিপক্ষের স্ট্রাইকারকে ট্যাকল করা তো দূর, ব্লক করারও চেষ্টা করেননি। কৃষ্ণ সহজেই হাভির উদ্দেশে মাইনাস করেন। হাভির প্লেসিং জালে জড়িয়ে যায়। ইস্টবেঙ্গলের রাইট ব্যাক অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়ের পারফরম্যান্সও খুব খারাপ। তিনি না পারেন রক্ষণ সামাল দিতে, না পারেন আক্রমণে দলকে সাহায্য করতে। সার্থক গলুই চোট সারিয়ে দলে না ফেরা পর্যন্ত লাল-হলুদের এই সমস্যা চলবেই।
আরও পড়ুন-
পেলেই সর্বকালের সেরা ফুটবলার, এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন দিয়েগো মারাদোনা
কেমোথেরাপি কাজ বন্ধ করে দেওয়াতেই কি জীবনাবসান হল ফুটবল-সম্রাট পেলের?
Pele : প্রয়াত কিংবদন্তি পেলে, সম্রাটকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ ফুটবলবিশ্ব