প্রায় ২ দশক সর্বভারতীয় লিগ চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। শেষ সর্বভারতীয় ট্রফি এসেছে ২০১২ সালে। তারপর থেকে টানা ব্যর্থতা চলছে। ফলে ক্ষুব্ধ লাল-হলুদ জনতা।
আইএসএল জয়ী হাই প্রোফাইল কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতকে নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু এই নামী কোচের অধীনে আগামী মরসুমে কারা লাল-হলুদ জার্সি পরে খেলবেন? ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার ক্লেইটন সিলভা, ডিফেন্ডার লালচুংনুঙ্গা-সহ যে কয়েকজনের সঙ্গে চুক্তি আছে তাঁদের বাইরে কাদের ধরে রাখা হবে আর নতুন করে কাদের নেওয়া হবে, সে ব্যাপারে এখনও সরকারিভাবে কোনও ঘোষণা হয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা জল্পনা শোনা যাচ্ছে বটে, কিন্তু যতক্ষণ না ক্লাবের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে ফুটবলারদের সঙ্গে চুক্তির কথা ঘোষণা করা হচ্ছে, ততক্ষণ সোশ্যাল মিডিয়ার গুজবে বিশ্বাস করা যাচ্ছে না। ফলে দোলাচলে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা।
এরই মধ্যে একটি ঘোষণা লাল-হলুদ জনতার একাংশের ক্ষোভ বাড়িয়ে দিয়েছে। রবিবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে পানশালার উদ্বোধন হতে চলেছে। এই খবর জানতে পেরে অনেক সমর্থকই ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। সোশ্যাল মিডিয়া, বিভিন্ন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে কর্মকর্তাদের তীব্র সমালোচনা চলছে। লাল-হলুদ সমর্থকদের দাবি, বাকি সবকিছু স্থগিত রেখে এখন ভালো দল গড়ার চেষ্টা করা উচিত ছিল। কিন্তু দল গড়া নিয়ে কর্মকর্তাদের হেলদোল নেই। ইস্টবেঙ্গল সমর্থক সৌরভ গোস্বামীর বক্তব্য, 'ইস্টবেঙ্গল ক্লাবে লাইব্রেরি হয়েছে, ক্যাফেটেরিয়া হয়েছে, মিউজিয়াম হয়েছে। এগুলো সবই ভালো। কিন্তু সারা বিশ্বে ইস্টবেঙ্গলের পরিচিতি ফুটবল ক্লাব হিসেবে। অনেক বছর ধরে সিনিয়র দলটাই ঠিকমতো গড়া হচ্ছে না। সবার আগে ফুটবল দলটাকে শক্তিশালী করে তুলতে হবে। না হলে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের গৌরব ফিরবে না। মোহনবাগান যেখানে প্রতিবার শক্তিশালী দল গড়ছে, আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেল, সেখানে ইস্টবেঙ্গল অনেক পিছিয়ে। কর্মকর্তাদের কাছে আমার অনুরোধ, ভালো দল গঠন করুন। না হলে পাড়ায় মুখ দেখানো যাচ্ছে না।'
লাল-হলুদ গ্যালারির পরিচিত মুখ সুবীর গঙ্গোপাধ্যায় চাঁচাছোলা ভাষায় কর্মকর্তাদের আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেছেন, 'ইস্টবেঙ্গলের কর্মকর্তারা অযোগ্য, অপদার্থ। ক্লাবের কোনও পদে থাকারই যোগ্যতা নেই। মুখ্যমন্ত্রী ইনভেস্টর না এনে দিলে নিজেদের ক্ষমতা নেই। সেই ইনভেস্টরকেও চলে যেতে বাধ্য করা হয়। প্রতিবার মরসুম শুরু হওয়ার আগে দল গড়া নিয়ে টালবাহানা চলছে। সব দলই ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলছে, চুক্তি করছে। ইস্টবেঙ্গল সেখানে মদ বিক্রি করবে। কয়েকদিন পরে আবার সলমন খানকে আনবে। টিম ভালো করার চেষ্টা নেই, ফুটবলের বাইরের নানা বিষয় নিয়ে ব্যস্ত কর্মকর্তারা। এবারও ভালো দল হওয়ার আশা নেই।'
আরও পড়ুন-
টাইব্রেকারে হায়দরাবাদকে হারিয়ে এএফসি কাপের যোগ্যতা অর্জন মোহনবাগানের
নাপোলিতে সারারাত উৎসব, বাঁধাভাঙা আনন্দ, ইটালি থেকে জানালেন বাঙালি ফুটবলপ্রেমী
হিমাংশু জ্যাংড়ার জোড়া গোল, ডেভেলপমেন্ট লিগে সহজ জয় ইস্টবেঙ্গলের