উত্তরাখণ্ডের পার্বত্য অঞ্চলে অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস, সাহায্যে এগিয়ে এল ভারতীয় সেনা

উত্তরাখণ্ডের পার্বত্য অঞ্চলে অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের প্রচারে এগিয়ে এল ভারতীয় সেনা। এ বিষয়ে একটি মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে।

Web Desk - ANB | Published : Jan 17, 2023 7:27 AM IST / Updated: Jan 17 2023, 01:48 PM IST

উত্তরাখণ্ডের পার্বত্য অঞ্চলে অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টস যাতে আরও ভালোভাবে আয়োজন করা যায়, তার জন্য এবার থেকে সাহায্য় করবে ভারতীয় সেনা। এ বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ১৪ জানুয়ারি দেরাদুনে শুরু হয়েছে 'সোল অফ স্টিল' চ্যালেঞ্জ। এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে শনিবার দেরাদুুনে হাজির ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং-সহ কয়েকজন মন্ত্রী ও সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিকরা। 'আর্মড ফোর্সেস ভেটারেন্স ডে' উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। সেই অনুষ্ঠানেই অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের প্রচার ও সাহায্যের বিষয়ে চুক্তি হয়েছে। ইউরোপে 'আয়রনম্যান ট্রায়াথলন' যেভাবে হয়, সেভাবেই উত্তরাখণ্ডে 'সোল অফ স্টিল' আয়োজন করা হয়েছে। একজন ব্যক্তি শারীরিকভাবে কতটা শক্তিশালী, তার পরীক্ষা হয় এই ধরনের অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের মাধ্যমে। ২০১৯ সালে ভারতে ‘কনকোয়েস্ট ল্যান্ড এয়ার অ্যান্ড ওয়াটার’ চালু করেন অবসরপ্রাপ্ত প্যারা স্পেশাল ফোর্সেস অফিসার বিবেক জ্য়াকব। এবার আরও বড় আকারে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে।

মেজর বিবেক জ্যাকব জানিয়েছেন, ‘সোল অফ স্টিল প্রতিযোগিতা আয়োজন করার লক্ষ্য হল দক্ষতা বৃদ্ধি করা এবং কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করার জন্য তৈরি হওয়া। এই ধরনের প্রতিযোগিতার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি কঠিন পরিস্থিতিতে প্রাণ বাঁচানো, লক্ষ্য স্থির রাখা এবং উঁচু পার্বত্য অঞ্চলে নিজের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার জন্য তৈরি হতে পারেন। পাহাড়ি অঞ্চলে বেঁচে থাকার শিক্ষা দেওয়া, তরুণদের নানারকম উন্নতিমূলক কাজের ব্যাপারে শিক্ষা দেওয়ার জন্য এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে। এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সারা বিশ্বে উত্তরাখণ্ডের অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজমের প্রচার করা যাবে।’

মেজর বিবেক জ্যাকব আরও জানিয়েছেন, ‘পার্বত্য অঞ্চলে কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার যে প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হয়েছে, তার চারটি আলাদা পর্যায় রয়েছে। প্রথমে ৪০ দিন ধরে প্রতিযোগীদের জঙ্গল ও পাহাড়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। মার্চের শেষে প্রতিযোগীরা এই প্রশিক্ষণ কতটা ভালোভাবে শেষ করতে পেরেছেন, তার পরীক্ষা নেওয়া হবে এবং ফল জানানো হবে। দ্বিতীয় ধাপে ৩০ দিন ধরে উঁচু পাহাড়ে প্রতিযোগীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তৃতীয় পর্যায়ে ১৫ দিন ধরে আন্তর্জাতিক দলকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এরপর চতুর্থ তথা শেষ ধাপে ৭ দিনের প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হবে। প্রতিযোগীদের নানারকম কঠিন পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। পাহাড়ে কাউকে উদ্ধার করা, বেঁচে থাকা, কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা-সহ নানা ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ১২ জন ভারতীয় এই প্রতিযোগিতায় যোগ দিচ্ছেন। ৬টি দলে ২ জন করে ভারতীয়কে রাখা হয়েছে। ৬টি আন্তর্জাতিক দলও এই প্রতিযোগিতায় যোগ দিচ্ছে।’

আরও পড়ুন-

হকি বিশ্বকাপে পরপর ২ ম্যাচে ভালো পারফরম্যান্স, খুশি ভারতের কোচ গ্রাহাম রিড

৬ বছর বয়স থেকে টেনিস খেলা শুরু, এবার যাত্রা থামছে, ঘোষণা সানিয়া মির্জার

আল-হিলালের পর এবার আল-ইত্তিহাদ, মেসিকে সই করাতে ইচ্ছুক সৌদি আরবের আরও একটি ক্লাব

Share this article
click me!