একদিকে যেমন দেশের হয়ে পর পর মেডেল জিতে বিশ্বের দরবারে ভারতের মাথা উঁচু করেছেন তিনি, অন্যদিকে জাতীয় পতাকার মান দিতেও স্বতঃস্ফূর্ত তিনি।
দেশের পতাকা মাটিতে পড়ার আগেই লাফ 'সোনার ছেলে' নীরজের। একদিকে যেমন দেশের হয়ে পর পর মেডেল জিতে বিশ্বের দরবারে ভারতের মাথা উঁচু করেছেন তিনি, অন্যদিকে জাতীয় পতাকার মান দিতেও স্বতঃস্ফূর্ত তিনি। সম্প্রতি একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে এমনই একটা দৃশ্য। জাতীয় পতাকা যাতে মাটিতে না পড়ে তার জন্য নিজে এগিয়ে এসে ক্যাচ ধরলেন নীরজ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এই ভিডিও মন কেড়েছে নেটিজেনদের। ২০২৩ সালের এশিয়ান গেমসে পুরুষদের জ্যাভলিন থ্রোতে সোনা জিতেছেন নীরজ৷ সেই জয়-এর উদযাপনের সময়ই আচমকা একটি জাতীয় পতাকা তাঁর দিকে ছুড়ে দেন একটা ভক্ত। পাতা যাতে কোনও মতে মাটিতে না পড়ে তার জন্য ঝাপিয়ে পড়েন নীরজ। মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হতে থাকে সেই ভিডিও। ইতিমধ্যেই নেট মাধ্যমে বিপুল পরিমানে লাইক ও শেয়ার হয়েছে ভিডিওটি।
২০১৮ সালে জাকার্তা এশিয়ান গেমসে জ্যাভলিন থ্রোয়ে সোনা জিতেছিলেন। ৫ বছর পর হাংঝাউয়ে সেই খেতাব ধরে রাখলেন নীরজ চোপড়া। কিশোর জেনার সঙ্গে দুর্দান্ত লড়াই হলেও, শেষপর্যন্ত সতীর্থকে টেক্কা দিলেন নীরজ। তিনি সোনা জিতলেন, কিশোর পেলেন রুপো। একই ইভেন্টে দুই ভারতীয়র পদক দেশের সম্মান বাড়াল। ৮৮.৮৮ মিটার থ্রো করে সোনা জিতলেন নীরজ। ৮৭.৫৪ মিটার থ্রো করে রুপো পেলেন কিশোর। একসময় নীরজকে দ্বিতীয় স্থানে ঠেলে দিয়ে শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছিলেন কিশোর। কিন্তু দুর্দান্তভাবে প্রত্যাবর্তন ঘটান নীরজ। তিনি এখনও ৯০ মিটার থ্রো করতে পারেননি ঠিকই, কিন্তু ধারাবাহিকভাবে সাফল্য পাচ্ছেন। এবার নীরজের লক্ষ্যে আগামী বছরের প্যারিস অলিম্পিক্স।
এদিন নীরজের প্রথম থ্রো ৯০ মিটারের কাছাকাছি ছিল। কিন্তু প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় তাঁকে। শেষপর্যন্ত বিচারকরা বলেন, ফের থ্রো করতে হবে নীরজকে। এই থ্রো হয় ৮২.৩৮ মিটারের। দ্বিতীয় থ্রোয়ে উন্নতি করেন নীরজ। এই থ্রো হয় ৮৪.৪৯ মিটারের। তৃতীয় থ্রো ফাউল করেন নীরজ। চতুর্থ থ্রোয়ে কিশোরকে টপকে শীর্ষে চলে যান নীরজ। তাঁর চতুর্থ থ্রো হয় ৮০.৮০ মিটারের। ষষ্ঠ থ্রো ফাউল হয়।