বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন ব্যবহার অনেকেই করলেও, ফোনের সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে সম্যক ধারণা নেই। এমন ব্যক্তিদের ফোনই নিশানা করে হ্য়াকাররা, বাঁচতে জেনে নিন সহজ তিন উপায়।
বর্তমান জীবনে দারুণ গুরুত্বপূর্ণ স্মার্টফোন। এই স্মার্টফোনেই আমরা বিভিন্ন ধরণের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ধরে রাখি, যা অন্য কারোর হাতে চলে গেলে হতে পারে সর্বনাশ। তাই সারাক্ষণ ভয়ে ভয়ে থাকতে হয়। কারণ বর্তমান সময়ে হ্যাকিংয়ের ঝুঁকিও দারুণভাবে বেড়েছে। অনেকেই, স্মার্টফোন ব্যবহার করেন, কিন্তু, কীবাবে নিজের ফোন সুরক্ষিত রাখতে হবে, এবং এর জন্য কী কী পদক্ষপ নেওয়া জরুরি - সেই বিষয়ে সম্যক ধারণা নেই। আর, তথ্য বলছে প্রযুক্তিতে সেভাবে সড়গড় নয়, এমন ব্যক্তিদের ফোনই নিশানা করে হ্য়াকাররা। তাই আজ আমরা আপনাকে কিছু উপায়ের কথা বলব, যেগুলো অত্যন্ত সহজ, কিন্তু সেই উপায়গুলি অবলম্বন করলে আপনার স্মার্টফোনের নিরাপত্তা অনেকগুণে বেড়ে যাবে, আর নির্ভয়ে সেই ফোন ব্যবহার করা যাবে। হ্যাকাররা যতই কারসাজি করার চেষ্টা করুক, লাভ হবে না।
সফটওয়্যার আপডেট
আপনার সাধের ফোনকে যেকোনও ধরনের হ্যাকিং বা ত্রুটি থেকে রক্ষা করতে, সফটওয়্যার আপডেট রাখাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্মার্টফোন কোম্পানিগুলি সময়ে সময়ে ফোনের জন্য নতুন নতুন আপডেট বের করে। এর মধ্যে ফোনের জন্য সিকিওরিটি প্যাচ (নিরাপত্তা সংক্রান্ত সফটওয়্যার আপডেট) এবং নতুন নতুন বৈশিষ্ট্য দেওয়া হয়। ফোনে আসা এই নিরাপত্তা সংক্রান্ত আপডেট বা অপারেটিং সিস্টেম আপডেট আপনার ফোন সুরক্ষিত থাকাটা নিশ্চিত করে।
'নিরাপদ' অ্যাপ ব্যবহার
প্লে স্টোর এবং অ্যাপ স্টোরে বিভিন্ন ক্যাটেগরির হাজার হাজার অ্যাপ পাওয়া যায়। এই অ্যাপগুলি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিরাপত্তার কথা মাথায় রাখতে হবে। কোনও অ্যাপ ডাউনলোড ও ব্যবহাহর করার আগে দেখে নিতে হবে সেই অ্য়াপে এনক্রিপশনের মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে কিনা। এনক্রিপশন আপনার ফোনে থাকা তথ্যকে সুরক্ষিত রাখে এবং অন্য কেউ আপনার চ্যাট অ্যাক্সেস করতে পারে না। তাই এনক্রিপশন আছে, এমন অ্যাপই আমাদের ব্যবহার করা উচিত, এগুলিই ফোনকে নিরাপদ রাখবে। কোনও থার্ড পার্টি অ্যাপ না ব্যবহার করাই মঙ্গল।
সমস্ত অ্যাপে অ্যাক্সেস দেওয়া এড়িয়ে চলুন
বর্তমান সময়ে প্রায় প্রতিটি অ্যাপই আপনার ফোন থেকে প্রচুর তথ্য সংগ্রহ করে - এর মধ্যে রয়েছে আপনার অবস্থান থেকে পরিচিতি পর্যন্ত। যদি আপনার তথ্য অন্য কারোর হাতে চলে যাওয়া আটকাতে চানব, তবে সবথেকে ভালো উপায় হল, আপনার ব্যক্তিগত তথ্য অ্যাক্সেস করতে চায়, এই ধরনের অ্যাপগুলি ডাউনলোড না করা। এছাড়া, যে অ্যাপগুলি আপনি ব্যবহার করেন না, সেই অ্যাপগুলিকে ফোন থেকে ডিলিট করে দিন। এই অ্যাপগুলি একদিকে যেমন ফোন থেকে তথ্য সংগ্রহ করে, পাশাপাশি ফোনের স্টোরেজও অর্থাৎ তথ্য ধারণের জায়গাও দখল করে।