পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে সুবিশাল গ্রহাণু, আয়তন তাজমহলের তিনগুণ

পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব যতটা তার থেকে প্রায় ১২ গুণ দূর দিয়ে যাবে এই গ্রহাণু। কিন্তু, তাও একে 'নিয়ার আর্থ অবজেক্ট' বা পৃথিবীর কাছাকাছি থাকা বস্তু হিসেবে ধরা হয়েছে। 

Asianet News Bangla | Published : Jul 20, 2021 6:36 AM IST / Updated: Jul 20 2021, 01:35 PM IST

সুবিশাল একটি গ্রহাণু। যার আয়তন তাজ মহলের প্রায় তিনগুণ। নাসার তরফে জানানো হয়েছে, ২৫ জুলাই পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে বেরিয়ে যাবে এই গ্রহাণু। নাসার ডেটাবেসে গ্রহাণু ২০০৮ জি০২০-র হদিশ পাওয়া গিয়েছে। যার ব্যাস প্রায় ২২০ মিটিরা। ২৫ জুলাই রাত ৩টে নাগাদ পৃথিবীর খুব কাছ দিয়ে চলে যাবে এই গ্রহাণু। সেই সময় পৃথিবী থেকে তার দূরত্ব থাকবে ৪.৭ মিলিয়ন কিলোমিটার। 

আরও পড়ুন- রেললাইন পেরোতে গিয়ে ট্রেনের নিচে, টেনে বের করা হল বৃদ্ধকে, দেখুন ভিডিও
 
পৃথিবী থেকে চাঁদের দূরত্ব যতটা তার থেকে প্রায় ১২ গুণ দূর দিয়ে যাবে এই গ্রহাণু। কিন্তু, তাও একে 'নিয়ার আর্থ অবজেক্ট' বা পৃথিবীর কাছাকাছি থাকা বস্তু হিসেবে ধরা হয়েছে। জ্যোতির্বিজ্ঞানের ভাষায়, পৃথিবী থেকে ১৯৪ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরত্বে থাকা কোনও বস্তুকে 'নিয়ার আর্থ অবজেক্ট' হিসেবে ধরা হয়। আর সেক্ষেত্রে এই গ্রহাণু অনেকটাই কাছ দিয়ে যাবে। 

আরও পড়ুন- ট্রেকিং-এর স্বাদ পেতে এবার মেঘের দেশ, ভোর রাতের অন্ধকারে ফালুট মানেই স্বর্গ দর্শণ

অনেকটা দূরে থাকার ফলে আশা করা হচ্ছে যে এই গ্রহাণু পৃথিবীতে কোনও আঘাত হানতে পারবে না। নিরাপদভাবেই তা পৃথিবীর পাশ দিয়ে চলে যাবে। কিন্তু, তাও অত্যন্ত সতর্ক রয়েছে নাসা। তাই এই গ্রহাণুকে সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ বস্তু হিসেবে চিহ্নিত করেছে তারা। কারণ অনেক সময় এই গ্রহাণুগুলির মধ্যে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি থাকে, যা তাদের নিজেদের গতিপথকে পরিবর্তন করে দেয়। এর ফলে পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় পৃথিবীর সঙ্গে সেটি ধাক্কা খেতে পারে। এই জন্যই গ্রহাণুটিকে আগে থেকেই খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করছে নাসা। 

আরও পড়ুন- ২১ জুলাই এবার শহিদ দিবস পালন করবে বিজেপিও, চলছে প্রস্তুতি

তবে ভালো খবর হল, নাসা একটি গ্রহ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করেছে যা বিপজ্জনক গ্রহাণুগুলিকে অন্যদিকে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হবে। নভেম্বরে, নাসা ডাবল অ্যাস্টারয়েড রিডায়রেকশন টেস্ট (ডিএআরটি) মিশনে একটি মহাকাশযান পাঠাতে চলেছে। তার মাধ্যমেই গ্রহাণুগুলি যদি কখনও নিজের কক্ষপথ পরিবর্তন করে তাহলে তাকে আবার নির্দিষ্ট কক্ষপথে ফিরিয়ে দেবে। আর এই মিশন যদি একবার সফল হয় তাহলে তা সৌরজগতের ক্ষুদ্রতম বস্তু থেকেও পৃথিবীকে রক্ষা করবে। ফলে পৃথিবীর সুরক্ষা আরও অনেকটা বেড়ে যাবে। কারণ গ্রহাণুর সঙ্গে যদি পৃথিবীর সংঘর্ষ হয় তাহলে তা বড় বিপর্যয় ডেকে আনবে। 

Share this article
click me!