বিশ্বে ভয়াবহ আকার নিতে চলেছে বন্যা, সতর্ক করল নাসা

সম্প্রতি নাসার তরফে জানানো হয়েছে, ২০৩০ সালে বন্যা হতে পারে স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি। চাঁদের প্রদক্ষিণের কারণে এই আবহাওয়ার পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাবে। বন্যা এতটাই ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করবে যে তার ফলে বিপর্যস্ত হতে পারে জনজীবন। 

জলবায়ু ও আবহাওয়ার পরিবর্তন। এটা খুবই স্বাভাবিক একটা বিষয়। আর এগুলির ফলেই পৃথিবীতে নানারকমের প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা যায়। ঝড় থেকে শুরু করে বৃষ্টি, আবার কখনও খুব বেশি গরম বা ঠান্ডা। কখনও ভয়াবহ আকার নেয় প্রাকৃতিক দুর্যোগ। এগুলির মধ্যে খুব সাধারণ হল বন্যা। সম্প্রতি নাসার তরফে জানানো হয়েছে, ২০৩০ সালে বন্যা হতে পারে স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি। চাঁদের প্রদক্ষিণের কারণে এই আবহাওয়ার পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাবে। বন্যা এতটাই ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করবে যে তার ফলে বিপর্যস্ত হতে পারে জনজীবন। 

আরও পড়ুন- টোকিও অলিম্পিক্স শুরুর আগেই জোর ধাক্কা, গেমস ভিলেজেই করোনা আক্রান্ত ১

Latest Videos

নাসার সমীক্ষা অনুযায়ী, পৃথিবীর জলবায়ুর উপর চরম প্রভাব ফেলতে শুরু করে দিয়েছে চাঁদ। কক্ষপথের মধ্যে চাঁদের চলার পথের অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। এর হাত ধরে চাঁদ ও পৃথিবীর মধ্যে দূরত্বের তারতম্য ঘটে। এর ফলে চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তির উপরেও প্রভাব পড়ে। কখনও মাধ্যাকর্ষণ শক্তি অনেকটা বেড়ে যায়। আর তার ফলেই সমুদ্রের জলস্তর বেড়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এর ফলে ২০৩০ সালে বন্যা খুব ঘনঘন হবে। আগে কখনও এক বিপুল পরিমাণ বন্যা দেখতে পাওয়া যায়নি। 

এছাড়া বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলেও পৃথিবীতে সমুদ্রের জলস্তর বেড়ে চলেছে। যার কারণে সব জায়গাতেই সমুদ্রের জলস্তর অনেক বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে নাসার এক গবেষকের তরফে জানানো হয়েছে। ২০৩০ সালে সেই জলস্তর আরও বেশি বৃদ্ধি পাবে। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে বৃদ্ধি পাবে চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ শক্তি। আর তার প্রভাবেই জোয়ারের সময় জলস্তর অনেক বেশি বেড়ে যাবে। ফলে ২০৩০ থেকে ২০৪০ পর্যন্ত বিশ্বে ঘনঘন বন্যার সৃষ্টি হবে। ভেসে যেতে পারে সমুদ্র ও নদী সংলগ্ন বহু এলাকা।

আরও পড়ুন- টি২০ বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বেই ভারত-পাকিস্তান মহারণ, একই গ্রুপে আফগানিস্তানও

নাসার তরফে আরও জানানো হয়েছে, নিজের কক্ষপথে একবার প্রদক্ষিণ করতে চাঁদের সময় লাগে ১৮.৬ বছর। এই সময়ের অর্ধেকটা উচ্চ জোয়ার হয় স্বাভাবিকের তুলনায় কম। এছাড়া দেখা যায় নিম্ন জোয়ারও। যা হয় স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি। তবে বাকি সময়ের বছরগুলিতে একেবারেই বিপরীত অবস্থা দেখতে পাওয়া যায়। ২০৩০ সালে চাঁদের ওই পর্যায় দেখা যাবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। যার কারণে গোটা বিশ্বেই বাড়বে বন্যার পরিমাণ। সমুদ্রে জলচ্ছ্বাসও অনেকটা বেশি দেখা যাবে। আর এর সঙ্গে সঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিমাণও আরও খানিকটা বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। 

Share this article
click me!

Latest Videos

‘সরকারকে প্রশ্ন করলেই সরকার উলঙ্গ হয়ে যাবে!’ বক্তব্য রাখতে না দেওয়ায় বিস্ফোরক Sajal Ghosh
Guyana-র সরস্বতী বিদ্যা নিকেতন স্কুলে Narendra Modi, কথা বললেন পড়ুয়াদের সঙ্গে
‘অনেকদিন পর কেষ্টদা ফিরেছে তাই একটু বিশৃঙ্খলা হচ্ছে’ অদ্ভুত ব্যাখ্যা Satabdi-র! | Satabdi Roy News
‘এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে TMC টাকা তুলছে না’ Mamata-কে চরম তুলোধোনা Suvendu-র
'মোদী বাংলার কৃষকদের একটা পয়সাও দেয় না' বিতর্কিত মন্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)