সোমবার মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা মঙ্গল থেকে পাওয়া প্রথম অডিও প্রকাশ করল। যা পারসিভ্যারেন্স রোভার পাঠিয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে নাসার তরফ থেকে। নাসা দাবি করেছে লাল গ্রহ থেকে পাঠান এটাই প্রথম ছবি। নাসার তরফ থেকে বলা হয়েছিল, রোভারে উত্থানের সময় কোনও মাইক্রোফোন কাজ করেনি। তবে এটি মঙ্গল গ্রহের অবতরনের অডিও ক্যাপচার করতে শুরু করেছিল। নাসার বিজ্ঞানীরা একটি সংক্ষিপ্ত রেকর্ডিং শেয়ার করেছিলেন। আর সেখানে বলা হয়েছে। আপনি ১০ সেকেন্ড ধরে যা শুনছেন তা মঙ্গল গ্রহের উপরিভাগের বাতাসের শব্দ। সব মিলিয়ে ৩ মিনিট ২৫ সেকেন্ডের ভিডিও ক্লিপে কী ভাবে রোভার মঙ্গলে অবতর করল তার ছবি রয়েছে। একই সঙ্গে রয়েছে মঙ্গলের মাটির ছবিও।
রোমাঞ্চকর সেই ভিডিও নিয়ে নাসার জেট প্রোপালশন ল্যাবরেটরির পরিচালক মাইকেল ওয়াটকিনস বলেছেন আমরা এই প্রথম মঙ্গলে অবতরনের কোনও ইভেন্ট ক্যাপচার করতে পেরেছেন তাঁরা। এগুলি সত্যিই আশ্চার্যজন ভিডিও বলে দাবি করেছেন তিনি। নাসার তরফে জানান হয়েছে এখনও পর্যন্ত মিশনটিতে কোনও সমস্যা হয়নি। রোভারটি এখনও প্রত্যাশা মত কাজ করছে বলেও দাবি করা হয়েছে।
নাসার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে হাইডেফিনিশন ক্যামেরার মাধ্যমে রোভারের ল্যান্ডিংএর ছবি তোলা হয়েছিল। সেইসঙ্গে মঙ্গলগ্রহের মাটিরও ছবি ওঠে। নাসার অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে পৃথিবীতে বসেই দেখা গেল মঙ্গলের জেজেরো গহ্বরের ছবি। লালগ্রহে অবতরণের আসপাশের বেশ কিছু ছবিও তুলেছে পারসিভ্যারেন্সের ক্যামেরা। মঙ্গলগ্রহণের একাধিক ছবি হাতে এসেছে রোভারের। বিজ্ঞানীদের কথায় মঙ্গলের ছবি দেখে অনেকটাই মরুভূমি কথা মনে হচ্ছে। কিন্তু রোভার যত নিতে নামে ততই স্পষ্ট হয় মাটির ছবি। রোভার যখন ২০ মিটার দূরে ছিল তখন ধূলো উড়তে দেখা যায়। মাটিতে নামার পর রোভারের আটটি চাকাই খুলে যায়। পারসিভ্যারেন্স মঙ্গল গ্রহে কার্বন ডাই অই থেকে অক্সিজেন তৈরির কাজ করবে। সঙ্গে সঙ্গে লালগ্রহে জলেও খোঁজ করবে বলে জানিয়েছে নাসা। লালগ্রহের মাটিতে কোনও প্রাণের সন্ধান রয়েছে কিনা তাও পরীক্ষা করা হবে। আবহাওয়া ও জলবায়ু নিয়েই মূলত গবেষণা চালাবে বারসিভ্য়ারেন্স, জানিয়েছে নাসার বিজ্ঞানীরা।