মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র জানিয়েছে, মেক্সিকোর চিহুয়াহুয়া থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ থেকেই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। এই রোগে এখনও পর্যন্ত ৬৫২ জন আক্রান্ত হয়েছে।
সালমোনেলা (salmonella) রোগের প্রকোপ ক্রমশই বাড়ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। ইতিমধ্যেই এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ৬৫০ ছাড়িয়েছে। সে দেশের কমবেশি প্রায় ৩৭টি রাজ্যেই এই রোগের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার অব ডিসিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (Center of Disease Control and Prevention), লাল, সাদা, হলুদ- লেভেল ছাড়া সমস্ত পেঁয়াজ ফেলে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। মোট কথা প্যাকেট ছাড়া পেঁয়াজ (Onion) না কেনার ওপরেই জোর দিয়েছেন মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রতিরোধ কেন্দ্র (CDC)।
মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র জানিয়েছে, মেক্সিকোর চিহুয়াহুয়া থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ থেকেই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। এই রোগে এখনও পর্যন্ত ৬৫২ জন আক্রান্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে ১২৯জনকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। এখনও পর্যন্ত কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে ৩১ মে থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে, দেখা গেছে আক্রান্তদের ৭৫ শতাংসই অসুস্থ হওয়ার আগে কাঁচা পেঁয়াজ খেয়েছিল। কয়েকজন অসুস্থ ব্যক্তি আবার একই রেস্তোরাঁখার খাবার খাওয়ার পরই অসুস্থ হয়ে গিয়েছিল। যা স্পষ্ট করে নির্দেশ করে অসুস্থরা একটি ক্লাস্টারের অংশ। বেশিরভাগ আক্রান্তই ওলকাহোমা ও টেক্সাসের বাসিন্দা।
Bangladesh: দূর্গা পুজো ঘিরে আশান্তির প্রতিবাদ, ৬ ঘণ্টার অনশন ও অবস্থান কর্মসূচির ডাক সংখ্যালঘুদের
বাড়িতে কিলবিল করছে বিষধর সাপ, রেটলস্নেক ধরতে গিয়ে রীতিমত কালঘাম ছুটে গেল
UPSC Topper: লক্ষ্যে অবিচল ছিলেন অঞ্জলি বিশ্বকর্মা, সেইজন্যই ছেড়েছিলেন মোটা বেতনের চাকরি
সিডিসি চিহুয়াহুয়া থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ না কেনার পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতাদের। পাশাপাশি স্টিরাকার ও প্যাকেজিং নেই এম পেঁয়াজও না কেনার কথা বলেছে। এজাতীয় পেঁয়াজ কেনা হয়ে গিয়ে থাকলে তা ফেলে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। পেঁয়াজ যেসব পাত্রগুলিতে ব্যবহার করা হয়েছিল সেই পাত্রগুলিও গরম জল ও সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে ধুয়ে ফেলার পরামর্শ দিয়েছে।
সালমোনেলা রোগের লক্ষণগুলি হলঃ
এটি মূলত ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ। ডায়রিয়া হয়। সঙ্গে জ্বর ও পেটের ব্যাথা থাকবে। পেটে খিঁচুনি থাকতে পারে। কোনও ব্যক্তি এই রোগে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হতে সময় নেয় ৬ ঘণ্টা থেকে ৬ দিন। অধিকাংশ সময় আক্রান্তরা বিনা চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে যায়। তবে অনেক ক্ষেত্রেই হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয়। বিশেষত আক্রান্ত সেলাইন দিতে হয়। কিছু ক্ষেত্রে টাইফয়েড বা প্যারাটাইফয়েডের মত গুরুতর রোগও হতে পারে। তবে এজাতীয় ব্যকটেরিয়া প্রস্রাব, রক্ত, হাড়, স্নায়ুতন্ত্রের সংক্রমণ ঘটাতে পারে। যার পরিণতি মারাত্মক হতে পারে।