বিদায়কালে বিড়ম্বনা, ইমপিচের মুখে পড়তে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

  • ইমপিচের মুখে পড়তে পারেন ট্রাম্প
  • শুরু হয়ে তারই তোড়জোড়
  • ন্যান্সি পেলোসির চিঠি ঘিরে জল্পনা 
  • ভোট গ্রহণের পথেই হাঁটবেন সদস্যরা 
     

Asianet News Bangla | Published : Jan 11, 2021 5:42 AM IST

বিদায়ী রাষ্ট্রপতি হিসেবে তাঁর মেয়াদ মাত্র আর মাত্র ১০ দিন। কিন্তু তার আগে আরও একবার তাঁকে বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হতে পারে। কারণ ক্যাপিট্যাল হিলে তাণ্ডবের ঘটনাকে সামনে রাখেই তাঁকে ইমপিচ করতে উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিপক্ষ ডেমোক্র্যাটরা। যদিও বিদায়ী রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পে বেশ কিছু আচরণ নিয়ে এখনও পর্যন্ত সহমত পোষণ করেনি রিপাব্লিকানরা। অনেকেই প্রকাশ্যে ট্রাম্পের তীব্র সমালোচনাও করেছেন। কিন্তু মার্কিন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব এলে তাঁরা কতটা সমর্থন করবেন তা নিয়ে সংশয় রয়েছে ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিকে ট্রাম্পকে ইমপিচ করতে ভোটগ্রহণ হতে পারে বলেই জল্পনা তুঙ্গে। 

 

রবিবার সন্ধ্যায় হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি সদস্যদের উদ্দেশ্যে একটি চিঠিতে ট্রাম্পকে ইমপিচ করার বিষয়ে পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। আগামী ২০ জানুয়ারি মার্কিন রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করবেন জো বাইডেন। তার দশ দিন আগেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আরও একবার লড়াইয়ে সামিল হতে পারে হাউস। কারণ জো বাইডেন শপথ নেওয়ার পরেই সেনেটে রিপাবলিকানরা সেনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ পাবে। ১০০ শতাংশের সেনেটে ট্রাম্পকে ইমপিচ করার জন্য কমপক্ষে দুই তৃতীয়াংশের সমর্থন প্রয়োজন। 

ডোনাল্ড ট্রাম্প শীর্ষে পৌঁছে দিলেন নরেন্দ্র মোদীকে, অনুগামীর সংখ্যায় তিনি প্রথম ..

তরুণদের কাছে আবেদন প্রধানমন্ত্রী মোদীর, দুদিনের সার্স্টআপ ইন্ডিয়া সামিটে অংশগ্রহণ ...

ভোটাভুটির কথা জানিয়ে রবিবার বিকেলেই ন্যান্সির চিঠি পৌঁছেছে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস-এর সব সদস্যদের কাছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, সংবিধানের ২৫ অনুচ্ছেন অনুযায়ী ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট পদে থাকার যোগ্য নন- এই দাবি তুলে তাঁকে ইমপিচ করার প্রক্রিয়া শুরু করবেন তাঁরা। এব্যাপারে প্রথমে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের মসর্থন অত্যান্ত জরুরি। তবে তিনি রাজি না হলে মন্ত্রিসভায় প্রস্তাব এনে ভোটাভুটির মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যাওয়া হবে। 


গত তেশরা নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই জো বাইডেনের জয় নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছিলেন ট্রাম্প। গিয়েছেলেন আদালতেও। বাইডেনের জয়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন তিনি। সবশেষে দলীয় সমর্থকদের উস্কে দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করেন তিনি। যার পরিণতি ক্যাপিটাল হিসেব অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। ট্রাম্প অনুগামীদের তাণ্ডবে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়। তারপর থেকে বেশ কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যান করে দেয় ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট। ধীরে ধীরে মার্কিন রাজনীতিতে কোনঠাসা হয়ে পড়েন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট। 

Share this article
click me!