মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আধুনিক নিউ ইয়র্ক শহরে প্রথম করোনা আক্রান্তের মৃত্যুর সঙ্গে মাত্র এক মাসের ব্যবধান, আর তাতেই মৃত্যু মিছিল ছাড়িয়ে গেল ১০ হাজারের গণ্ডি। শহরের পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ এই পরিসংখ্যানই তার প্রমাণ দিচ্ছে। তবে একসপ্তাহের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় কিছুটা হলেও কমেছে মৃত্যু হার। এই প্রথম ৭০০ নিচে নেমেছে সংখ্যাটা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণের এপিসেন্টার হয়ে উঠেছে নিউ ইয়র্ক। এখনও পর্যন্ত এই শহরে করোনা প্রাণ কেড়েছে ১০,০৫৬ জনের। প্রতিদিনই নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যাটা ২০০০ কাছাকাছি।
আরও এক মাসের জন্য লকডাউন বাড়ল ফ্রান্সে, সমাধান অধরা, অসহায় স্বীকারোক্তি ম্যাক্রঁরকরোনা যুদ্ধে অস্ত্র হোক গামছা, দেশবাসীকে পাঠ পড়ালেন খোদ প্রধানমন্ত্রীকরোনা যুদ্ধে নতুন গাইডলাইন আনছে কেন্দ্র, মারণ ভাইরাসকে হারাতে দেশবাসীকে ৭টি বান দিলেন মোদীকরোনায় মৃত্যুমিছিলে দুদিন আগেই ইতালিকে টেক্কা দিয়ে শীর্ষে উঠে এসেছে আমেরিকা। গত ৪৮ ঘণ্টায় দুই দেশের মধ্যে মৃত্যুর ব্যবধান আরও বেড়েছে। ইতালিকে অনেকটাই পিছনে ফেলে মৃত্যুর শিখরে এখন আমেরিকা। জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির করোনা রিপোর্ট অনুযায়ী, আমেরিকায় করোনায় এখনও পর্যন্ত ২৩ হাজার ৬৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর আমেরিকায় মোট মৃত্যুর প্রায় অর্ধেকই নিউ ইয়র্কে। সবমিলিয়ে আমেরিকায় আক্রান্ত বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ৮৭ হাজার ১৭৩ । এর মধ্যে নিউ ইয়র্কেই আক্রান্ত ১ লক্ষ ৯০ হাজার ২৮৮ জন। কোভিড-১৯-এ ইউরোপের সব চেয়ে বিধ্বস্ত দুই দেশ, ইটালি এবং স্পেনের চেয়েও বেশি সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন শুধু নিউ ইয়র্ক শহরে।
মার্কিন মুলুকে ওয়াইমিংই একমাত্র রাজ্য যেখানে এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাস সম্পর্কিত একটিও মৃত্যুর খবর নেই। তবে, নিউ ইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুয়োমো আশাবাদী, সেখানে মহামারী এবার কমবে। নতুন সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির হার কমাতেই তিনি আশাবাদী হয়ে উঠেছেন। গভর্নর বারবার বলছেন , দুর্ভাগ্য আর বিদেশি পর্যটকের ভিড়েই এমন দশা এখন এই শহরের। পরিসংখ্যান বলছে, প্রতি বছর এখানে প্রায় ৬ কোটিরও বেশি পর্যটক আসেন। জিন-বিশেষজ্ঞদের মতে, গত ফেব্রুয়ারিতেই ইউরোপ থেকে করোনার নিউ ইয়র্ক যাত্রা শুরু হয়ে গিয়েছিল। তারপরেও প্রশাসন তেমন কড়া পদক্ষেপ না করাতেই বর্তমানে আমেরিকার অন্যতম গর্বের শহর এখন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।