২০১৯ সালে প্রকাশিত জাতীয় স্বাস্থ্য তথ্য অনুযায়ী ২০১৭ ও ২০১৮ সালে মুখ, জরায়ু এবং স্তন ক্যানসার সহ অন্যান্য ক্যানসারের প্রবণতা ৩২৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৮ সালে ১.৬ লক্ষ মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত হন, আর ২০১৭ সালে ৩৯,৬৩৫টি ক্যানসারের কেস সনাক্ত করা হয়েছিল।
এনসিডি ক্লিনিকগুলিতে আসা মানুষের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে, এরজন্য মানুষের বদলে যাওয়া জীবনযাত্রাকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। মানসিক চাপ, খাদ্যাভাস, এবং তামাকজাতীয় পণ্য ও অ্যালকোহল গ্রহণের ফলে দ্রুত মানুষের শরীরে থাবা বসাচ্ছে এই মারণ রোগ।
গুজরাতে সবচেয়ে বেশি ক্যানসার কেস দেখা যায়, এর পরেই রয়েছে কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা এবং পশ্চিমবঙ্গ। এমনকি অন্ধ্রপ্রদেশ এবং উত্তরপ্রদেশের মত রাজ্যগুলি যেখানে ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা কম ছিল সেখানেও ২০১৮ সালে উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এই রোগ।
মুখের ক্যানসারের জন্য তামাক সেবনকেই মূলত দায়ি করেছেন অ্যাকশন ক্যানসার হাসপাতালের সিনিয়র অনকোলজিস্ট ডঃ হরপ্রীত সিং। এছাড়াও জীবনযাত্রার বদল এবং স্থূলতাও সব ধরণের ক্যানসারের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য অন্যতম কারণ বলে মনে করেন তিনি।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক ক্যানসার, ডায়াবেটিস, কার্ডিওভাসকুলার রোগ ও স্ট্রোক প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য জাতীয় কর্মসূচি নিয়েছে, যেখানে মানুষের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তোলার ব্যাপারে জোর দেওয়া হচ্ছে, পাশাপাশি মানুষ যাতে জীবনযাত্রার মানের পরিবর্তন করে সেদিকেও নজর দেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ নির্নয় করা গেলেও তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়।