করোনা আতঙ্কের মাঝে ঐতিহ্যের সঙ্গে আপস নয়। চিরাচরিত রীতি মেনে শুক্রবার তোপধ্বনি সহযোগে মন্দির প্রবেশ করলেন মহালক্ষ্মী। বড় ঠাকুরানী রূপে। শারদোৎসবের সূচনা হল বাঁকুড়া বিষ্ণুপুরে, মল্ল রাজ পরিবারে।
এক হাজার বছর! সে বড় কম সময় নয়। বাঁকুড়ার প্রাচীন শহর বিষ্ণুপুরের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে মল্লরাজাদের ইতিহাস। কথিত আছে, ৯৯৭ খ্রীষ্টাব্দে বিষ্ণুপুরের জঙ্গলে শিকার করতে আসেন মল্ল বংশের ১৯তম রাজা জগৎ মল্ল। জঙ্গলে দেবী মৃন্ময়ীর দর্শন পান তিনি। এরপর সেখানে মন্দির নির্মাণ করে দেবী মৃন্ময়ীকে পুজো করতে শুরু করেন দুর্গারূপে। সেই শুরু। আজও প্রাচীন রীতি মেনে দুর্গাপুজো হয় মল্লভূমিতে। প্রতিবছর যেমন হয়, এবার তেমনি জিতাষ্টমীর পরের দিন নবমাদি কল্পারম্ভের মাধ্যমে শুরু হয়ে গেল পুজো।