ভাইরাল ভিডিও এবং কিছু ছবিকে নিয়ে এখন চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহ জেলায়। যা এই জেলার রাজনীতিতে আলোড়ন ফেলেছে। এই ভাইরাল ভিডি এবং ছবির বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছেন কিছু তৃণমূল নেতা। ঘটনাটি মালদহ জেলার কালিয়াচকের গোলাপগঞ্জে। ফেসবুকে একাধিক পেজ এবং ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে এই ভিডি এবং ছবিগুলো ভাইরাল করা হয়েছে।
ভাইরাল হওয়া ভিডিও এবং ছবিগুলোতে বেশকিছু লোকজনকে একাধিক মহিলার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা গিয়েছে। অভিযোগ, এখানে যে লোকগুলোকে দেখা গিয়েছে এরা গোলাপগঞ্জের স্থানীয় তৃণমূল নেতা। এঁদের মধ্যে আবার গোলাপগঞ্জের পঞ্চায়েত প্রধান জিয়াউল হক রয়েছেন। এমনকী অভিযোগ, এই দলটির মধ্যে অন্য লোকেদের মধ্যে রয়েছেন তালেপ মিঞা, বকুল মিঞা-সহ আরও কিছু তৃণমূল নেতা। এদের মধ্যে অধিকাংশই মালদহ জেলার কালিয়াচকের গোলাপগঞ্জ পঞ্চায়েতের সদস্য। স্থানীয় বিজেপি নেতা শেখর মণ্ডল এই ঘটনার কড়া নিন্দা করেছেন। তাঁর অভিযোগ, সরকারি অর্থ নয়ছয় করে এভাবেই ভোগবিলাসে মেতে রয়েছেন তৃণমূল নেতারা। স্থানীয় সূত্রে খবর যে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান জিয়াউল হকের বিরুদ্ধে বিশাল অঙ্কের অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগ সামনে এসেছে। গোলাপগঞ্জ পঞ্চায়েতের একাধিক স্থানে রাস্তার হওয়ার কথা বলা হলেও আসলে সেখানে রাস্তা হয়নি বলেই অভিযোগ। স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসেরই একটা অংশের অভিযোগ, জিও ট্যাগ দেখিয়ে রাস্তা হওয়ার দাবি করেছেন প্রধান জিয়াউল হক এবং তাঁর সঙ্গীরা। কিন্তু, বাস্তবে তেমন কোনও রাস্তার অস্তিত্ব-ই পাওয়া যায়নি। সবমিলিয়ে গোলাপগঞ্জ পঞ্চায়েতে জিয়াউল হকের নেতৃত্বে বিশাল অঙ্কের সরকারি অর্থ নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি জেলা নেতৃত্বের কানেও পৌঁছেছে বলে অভিযোগ। কিছুদিন আগে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসেরই একটি গোষ্ঠী জিয়াউলদের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে। কিন্তু, তা সফল হয়নি অভিযোগ, সোশ্যাল মিডিয়ায় যে ভিডিও এবং ছবিগুলো ভাইরাল করা হয়েছে তা তৃণমূল কংগ্রেসরেই অন্য গোষ্ঠীর কাজ। সুযোগ বুঝে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে নেমে পড়েছে বিজেপি-ও।