কেউ খাচ্ছেন মুড়ি দিয়ে চপ, বেগুনি, টমেটো, পেঁয়াজ কারও আবার মুড়ির সঙ্গে পছন্দ ঘুগনি বা জিলিপি। বাঁকুড়ার কেঞ্জাকুড়া গ্রাম সংলগ্ন দ্বারকেশ্বর নদের চরে রবিবার এ ভাবেই নানা স্বাদে মুড়ি উপভোগ করতে ভিড় করেছিলেন চল্লিশ থেকে পঞ্চাশটি গ্রামের মানুষ। আসলে প্রতি বছর মাঘ মাসের চার তারিখে কেঞ্জাকুড়া গ্রাম সংলগ্ন দারকেশ্বর নদের চরে মুড়ি মেলা বসে। সেখানেই পরিবারের সদস্য অথবা বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে বিভিন্ন পদ দিয়ে মুড়ি খেতে ভিড় জমান কয়েক হাজার মানুষ। শীতের নরম রোদে দিনভর একসঙ্গে মুড়ি খাওয়ার পাশাপাশি চলে হই, হুল্লোড় আর আনন্দ।
বাঁকুড়ার এই মুড়ি মেলা অত্যন্ত প্রাচীন। জনশ্রুতি আছে, নদীর ধারে এক সাধকের প্রতিষ্ঠিত আশ্রমে রাতভর হরিনাম সংকীর্তন শুনে বাড়ি ফেরার সময় নদীর চরে বসে মুড়ি খেতেন ভক্তরা। আর তা থেকেই এই মুড়ি মেলার প্রচোলন। রবিবার সকাল থেকে বাড়ি থেকে মুড়ি, চপ, বেগুনি, ঘুগনির মতো খাদ্য সামগ্রী নিয়ে নদীর চরে চলে আসেন। এমনিতেই বাঁকুড়ায় মুড়ি খাওয়ার প্রচলন বেশি। মুড়ি মেলায় সেই বহর যেন আরও বেড়ে যায়। প্রায় চল্লিশ থেকে পঞ্চাশটি গ্রামের মানুষ এই মুড়ি মেলায় ভিড় করেন। প্রতি বছরই মুড়ি মেলায় ভিড় উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে।