পুরাণে কথিত আছে, অসুরের অত্যাচার থেকে উদ্ধারের জন্য স্বর্গের দেবতারা মহামায়ার তপস্যা শুরু করেন। আরাধনায় সন্তুষ্ট হয়ে মহামায়া দেবী মানস সরোবরের জলে স্নান করে কালো রং ত্যাগ করে কৃষ্ণবর্ণা দেবী কৌশিকীর রূপ ধারণ করেন। সেই রূপেই দেবী শুম্ভ নিশুম্ভ নামের দুই অসুরকে বধ করে দেবতাদের রক্ষা করেন এই তিথিতেই। সেই থেকেই পাপের বিনাশ করার জন্য তারাপীঠ সহ নানান পীঠস্থানে কৌশিকী রূপে পুজো করা হয়, মা কে। ইছামতির তীরেও এই দিনটি সাড়ম্বরে পালিত হয়। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র দেবের শতাব্দীপ্রাচীন কালী মন্দিরে ফি বছরই কৌশিকী আমাবস্যা ঘটা করেই পালিত হয়। সকাল থেকে শুরু হয়ে যায় ভোগের রান্না। বেলা যত গড়ায় ততই ভীড় বাড়তে পূর্ণ্যার্থীদের। রাত হলে মন্দির প্রাঙ্গণে মোমবাতি জ্বালান ভক্তরা। এবারও তার অন্যথা হল না।