বঙ্গোপসাগরের এক্কেবারে কোলের উপরে বাস বোটখালির। গঙ্গাসাগর দ্বীপের একদম শেষপ্রান্তে এই এলাকা। ধবলাট পঞ্চায়েতের অধীনে থাকা এই এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ তাঁরা অনুন্নয়নের শিকার। যার জন্য বঙ্গোপসাগরের এক্কেবারের মুখের সামনে তাঁরা বসবাস করলেও আজ পর্যন্ত কোনও বাঁধ তৈরি করা হয়নি। বলতে গেলে তাঁরা দিন-রাত জীবন হাতে করে এই এলাকায় বসবাস করছেন। ভৌগলিক দিক থেকে গঙ্গাসাগর দ্বীপ সমুদ্রপৃষ্ট থেকে অনেকটা নিচু। যার জন্য বঙ্গোপসাগর দশকের পর দশক দ্বীপের ভূমিকে গিলে চলেছে। ঘূর্ণিঝড় আমফানে গঙ্গাসাগরের সবচেয়ে বিপদের মুখে দাঁড়িয়ে ছিল এই এলাকা। কারণ, জলোচ্ছ্বাস বাড়াবাড়িরকমের হলে জলের তলায় এই এলাকার চলে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ১৯ তারিখ দুপুরের মধ্যে সমুদ্র থেকে আসা জল খালে ঢুকে এলাকাকে প্লাবিত করে দিয়েছিল। প্রায় এক কোমর জল দাড়িয়ে গিয়েছিল। তবে, গভীর সমুদ্রে মাছ ধরে অভ্যস্ত এখানকার বাসিন্দারা বুঝতে পেরেছিলেন আমফানের ধ্বংসের ভয় থাকলেও জল নিয়ে বেশি আতঙ্ক না হলেও চলবে। কারণ, আমফান যখন আছড়ে পড়ছে তখন সমুদ্রে ভাটা। ফলে ঘূর্ণিঝড়কে অতিরিক্ত শক্তি ক্ষয় করে ডাঙায় জল আনতে হবে। কিন্তু, ঘূর্ণিঝড় আমফান যে তাণ্ডব দেখিয়েছে তাতে আতঙ্কে রয়েছে বোটখালি। অবিলম্বে এলাকায় বাঁধ তৈরি হওয়ার দাবি করেছেন তাঁরা।