যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকে ছিল অর্পণ। সাহায্য চেয়ে একটি ভিডিও করে পাঠিয়েছিলেন অর্পণ। সেখানে ভয়াবহ পরিস্থিতির কথাও ব্যাখ্যা করেছিলেন তিনি। বাড়ি ফেরার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছিলেন অর্পণ। বুখারেস্ট বিমানবন্দর থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হন তিনি। তারপর দিল্লি থেকে বিমানে করে কলকাতায় ফেরেন তিনি। অবশেষে বসিরহাটের বাড়িতে ফিরলেন অর্পণ মন্ডল। ছেলেকে ফিরে পেয়ে এখন নিশ্চিন্ত অর্পণের পরিবার।
চিকিৎসাশাস্ত্র নিয়ে উচ্চশিক্ষার উদ্দেশে ছেলে পাড়ি দিয়েছিল অন্য এক মহাদেশে। মেধাবী ছাত্র বসিরহাটের অর্পণ ইউরোপ মহাদেশের অন্তর্গত ইউক্রেনের দিনাপ্রো-পেট্রোভ্যাক্সের মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে পড়তে গিয়েছিল। ফেব্রুয়ারি মাসের ২৬ তারিখে দেশে ফেরার টিকিট কাটা থাকলেও যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে সেই টিকিট বাতিল হয়ে যায়। তারপর থেকে আগামী ৯ দিন ধরে রুশ সেনার ইউক্রেনের উপর ধ্বংসলীলার সাক্ষী ছিল সে। ভারতীয় দূতাবাসের দেওয়া সমস্তরকম নির্দেশিকা মেনে তার বাসস্থান ছেড়ে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১২০০০ টাকা খরচ করে মিনিবাসে করে নিকটবর্তী রোমানিয়া সীমান্তে গিয়ে সেখান থেকে ভারত সরকারের 'অপরেশন গঙ্গা'র মাধ্যমে বুখারেস্ট বিমানবন্দর থেকে দিল্লির উদ্দেশে রওনা হয় সে। সেখান থেকে বিমানে করে এসে কলকাতায় নামে। তারপর বসিরহাটের উদ্দেশে রওনা দিয়ে ঘরের ছেলে ফিরল ঘরে। ছেলে ফেরার আনন্দে মায়ের চোখে দেখা গেল আনন্দ অশ্রু। দেশে ফিরলেও এখনও আতঙ্ক যেন কাটছে না অর্পণের।