মুকুল রায় ফিরে গিয়েছেন। ঘরের ছেলে ঘরে ফিরেছে বলে স্বাগত জানিয়েছেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই পথে হাঁটতে চলেছেন রাজীব, সব্যসাচীও বলে ধারণা করছে বিজেপির একাংশ। একদা চাণক্য মুকুলের হাত ধরে তৃণমূলে ঘর ওয়াপসি হতে পারে বহু নেতা কর্মীর, আশঙ্কাটা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এবার তাই শক্ত হাতে দলের রাশ ধরতে চাইছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শনিবার বিকেলে ডেবরাতে দলীয় কার্যালয়ে কর্মীদের নিয়ে বৈঠকে উপস্থিত হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। সেখানে তাঁর স্পষ্ট বার্তা দুমাস বা তিন মাস সময় যাই লাগুক, দলত্যাগ বিরোধী আইন কার্যকর করেই ছাড়বেন তিনি। কারণ তাঁর দাবি মুকুল রায়ের দলত্যাগ কোনও মতেই আইন মেনে হয়নি। তবে শুভেন্দুর পাল্টা দিয়ে তৃণমূলের সদ্য নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলছেন, শুভেন্দুর এই হুঁশিয়ারি তাঁর বাবা শিশির অধিকারীর জন্যও প্রযোজ্য হবে তো। কারণ তাঁর দলত্যাগও আইন মেনে হয়নি।
আরও পড়ুন - বিজেপির বিরুদ্ধে সরব একাধিকবার, এবার তৃণমূলে ফেরার পালা কি সব্যসাচী দত্তের
শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে জেলার কর্মীদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন শুভেন্দু। যেখানে নির্বাচনোত্তর পরিস্থিতি নিয়ে কর্মীদের কাজ করার ও মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করেন তিনি। বৈঠক শেষে এ দিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন-" মমতা ব্যানার্জির একটা দীর্ঘদিনের রোগ, উনি তার রাজত্বে কোন বিরোধীদের রাখতে চান না, গণতন্ত্রকে মানেন না। সেজন্য স্কুল-কলেজে নির্বাচন তুলে দিয়েছেন, চার বছর ধরে বন্ধ রয়েছে পৌরসভার নির্বাচন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রহসন লুট করেছেন
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগে শুভেন্দু বলেন ২০১২ সাল থেকে এই বিধায়ক ভাঙিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো কাজ করে চলেছেন মমতা। এখন কে যাবে না যাবে সেটা বলছি না। দলত্যাগ বিরোধী আইন, যেটা পশ্চিমবঙ্গে কার্যকর হয়নি, আমি বিরোধী দলনেতা হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে বলছি আমি তার পদ্ধতি জানি। দলত্যাগ বিরোধী আইন পশ্চিমবঙ্গে কার্যকর করে দেখাবো। তাতে কয়েক মাস লাগতে পারে। তাতে আইন মেনে দল ত্যাগ করতে হবে।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন সমস্ত কিছু ছেড়ে সাধারণ ভোটার হিসেবে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন তিনি। সেভাবে যদি কেউ যায় তাহলে যেতে পারে। কিন্তু এখানে অন্য দলের বিধায়ক তৃণমূলের খাতায়। মমতা ব্যানার্জি এবং পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা যে আইনের উর্ধে নয় তা প্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্ব বিরোধী দলনেতা হিসেবে তিনি নিচ্ছেন। ইতিমধ্যেই সে কাজ করতে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। পদ্ধতিগত কাজ শুরু হয়েছে।