ভোটার তালিকায় 'মৃত' ভোটার, ভোটদানে বাধা দিলে বাহিনীর গুলি খেয়ে মরতেও রাজি

  • মালদায় ভোটার তালিকায় ভুল
  • ৭৪ বছরের এক বৃদ্ধ ভোটারের তালিকায় নাম নেই
  • মৃত বলে নাম বাদ গিয়েছিল তাঁর
  • ভুল বলে মেনে নিয়েছে প্রশাসন

debojyoti AN | Published : Apr 26, 2021 7:39 AM IST / Updated: Apr 26 2021, 01:36 PM IST

তনুজ জৈন, প্রতিনিধি: সপ্তম দফার নির্বাচনে রাজ্যের ৩৪টি আসনে ভোটগ্রহণ চলছে। ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছে মালদাও। উৎসবের মেজাজে জেলার বিভিন্ন জায়গায় ভোট হলেও মালদার কিছু জায়গা থেকে অনিয়মের অভিযোগ আসছে। নির্বাচন কমিশনের তরফে প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকায়‘মৃত’ভোটারকে নিয়ে অবাক সবাই। ঘটনাটা এরকম। ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়েন ৭৪ বছরের পৌঢ়া। অথচ রয়েছে ভোটার কার্ড। তিনি আবার একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মী। সে দিব্যি বেঁচে-বর্তে রয়েছেন। সুস্থ ভাবে কাটাচ্ছে জীবন। 

আরও পড়ুন- Election Live Update- ১১ টা পর্যন্ত মোট ভোট পড়ল ৩৭ শতাংশ, কোভিড পরিস্থিতিতেও রাজ্যে হিংসা অব্যহত

সত্তরের কোটা পেরিয়ে গেলেও এখনো সে চশমা ছাড়াই দেখতে পান। করছেন টুকিটাকি দৈনন্দিন কাজও। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের তরফে প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় সে 'মৃত'। তালিকা দেখে আঁতকে উঠেছেন মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-৪৬ নং বিধানসভার গাংনদিয়া গ্রামের বাসিন্দা তথা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মী জুলমত হোসেন(৭৪)। তাহলে কি সে আগামিকাল গনতান্ত্রিক অধিকার ভোট দান করতে পারবেন না? সে তো জীবিত। কি করে তার নাম মৃতের তালিকায় আসলো। সে কিছুই বুঝতে পারছে না।শেষ বয়সে কি তার নাগরিকত্বের পরিচয় ভোটাধিকারও কেড়ে নিলো সরকার?

আরও পড়ুন- প্রার্থী না হতে না পারায় চরম মানসিক যন্ত্রনা, আজ নিজের কেন্দ্রের ভোটের দিনেই মৃত্যু TMC নেতার

ভোট দিতে বাধা দিলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলি খেয়ে মরতে রাজি আছে তবুও সে ভোট কেন্দ্রে যাবে বলে জানান।  জুলমত হোসেন জানান তার স্ত্রী রোশনারা আখতারা প্রায় দুই বছর আগে মারা যায়। ভোটার তালিকায় তাকে মৃত না দেখিয়ে তার স্বামীকে মৃত দেখানো হয়েছে। ২০১৯ সালের ভোটার তালিকায় তাকে মৃত দেখানো হয়েছে। ২০২১ এর ভোটার তালিকায় তার নাম নেই। 

স্থানীয় বিএলও কে বারেবারে সংশোধনের জন্য কাগজপত্র জমা দিলেও কোনো কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ। বিএলও লিয়াকত আলী জানান অজান্তেই হয়তো ভুল হয়েছে। সংশোধনের জন্য তাকে কোনো কাগজপত্র দেয়নি। সে যাতে নিজের ভোটটি দিতে পারে তা বিডিওর সঙ্গে আলোচনা করবেন।

 বিডিও জানান এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত সংশোধনের জন্য মেয়াদকাল ছিল। এখন আর কোনো উপায় নেই। পরবর্তী সময়ে স্থানীয় বিএলও কে দিয়ে সংশোধন করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। হরিশ্চন্দ্রপুর-৪৬ নং বিধানসভার এসইউসিআই প্রার্থী মুশারফ হোসেন জানান, তার গণতান্ত্রিক অধিকার বিএলও-র ভুলের জন্য ভোটদান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিডিওর সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলেন এই মুহূর্তে সংশোধনের কোনো উপায় নেই। বিয়োজন তালিকায় নাম থাকায় সে ভোট দিতে পারবেন না।

Share this article
click me!