শালবনিতে 'হেভিওয়েট' লড়াই, বিধানসভা আসনে কে-কত বার জয়ী, দেখে নিন তালিকা

  • পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার শালবনি বিধানসভা কেন্দ্র ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে পড়ে
  • ২০১১, ২০১৪, ২০১৬ ও ২০১৯-এর ভোটে তৃণমূল এগিয়ে
  • ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো
  • এবার বিধানসভা ভোটে জিততে পারলে হ্যাটট্রিক হবে শ্রীকান্তের

Asianet News Bangla | Published : Mar 24, 2021 6:03 AM IST

শামিকা মাইতি: শালবনি ব্লকের ভীমপুর, বিষ্ণুপুর, দেবগ্রাম, লালগেড়িয়া, শালবনি পঞ্চায়েত, গড়বেতা ব্লকের গোয়ালতোড়, গোহালডাঙা, জিরাপাড়া, মাকলি, পাথরপাড়া, পিংবনী পঞ্চায়েত এবং গড়বেতা ২ ব্লক এলাকা নিয়ে গঠিত এই বিধানসভা কেন্দ্রটি বহু দিন সিপিএমের দখলে ছিল। ২০১১ সালে পরিবর্তনের হাওয়া লাগে। সেবার ৪৭.৫৪ শতাংশ ভোট পায় তৃণমূল। ২০১৪-র লোকসভা ভোটে তা বেড়ে হয় ৫৬ শতাংশ। ২০১৬ সালে ৫৩.৯১ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় বারের জন্য এই আসন থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হন শ্রীকান্ত মাহাতো। ২০২১ সালেও তাঁকেই প্রার্থী করেছে তৃণমূল। জিততে পারলে হ্যাটট্রিক হবে শ্রীকান্তের। তাঁর উল্টোদিকে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা দাপুটে সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ। সুশান্তবাবু হেভিওয়েট প্রার্থী সন্দেহ নেই। তবে, এলাকায় বামেদের সাংগঠনিক জোর কমে গিয়েছে। 


 আরও পড়ুন-ঘাটালে সবুজ-গেরুয়ার লড়াইয়ে ফিকে লাল রঙ, ভোটের আগে ছবিটা ঠিক কেমন...
 
শালবনি বিধানসভা আসনে কে-কত বার জয়ী
 
১৯৫১ সালে স্বাধীন ভারতের প্রথম নির্বাচনে এই আসন থেকে জিতেছিলেন নির্দল প্রার্থী বিজয় গোপাল গোস্বামী। ১৯৫৭ সালের ভোটে আসনটি ছিল না। ১৯৬২ সালে কংগ্রেসের নিরঞ্জন খামরই এই আসন থেকে জেতেন। বাংলা কংগ্রেসের হয়ে অমূল্য রতন মাহাত এই আসন থেকে জেতেন ১৯৬৭ ও ৬৯ সালের ভোটে। ১৯৭১ সালে সিপিআই(এম)-এর সুন্দর হাজরা জেতেন। ১৯৭২ সালে সিপিআইয়ের ঠাকুরদাস মাহাতো জয়ী হন। সিপিআই(এম) প্রার্থী সুন্দর হাজরা এরপর পরপর চারবার জেতেন। ১৯৭৭ সালে তিনি হারিয়ে দেন কংগ্রেসের বাসন্তী মাহাতোকে। ১৯৮২ সালে কংগ্রেসের কালীসাধন মাহাতো ও ৮৭তে ফের বাসন্তীদেবীকে হারিয়ে দেন সুন্দরবাবু। ১৯৯১ সালে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জনতা পার্টির বিজয় মাহাতো। ১৯৯৬, ২০০১ ও ২০০৬ সালে পরপর এই আসন থেকে জেতেন সিপিআই(এম) প্রার্থী খগেন্দ্রনাথ মাহাতো। ১৯৯৬ সালে তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল ঝাড়খণ্ড পার্টির (নরেন) তাপস দাস, ২০০১ সালে তৃণমূলের দীনেন রায়, ২০০৬ সালে তৃণমূলের উত্তরা সিংহ।  ২০১১ সালে এই আসনে জেতেন তৃণমূল প্রার্থী শ্রীকান্ত মাহাতো (৯২,০৮২টি ভোট)। সিপিআই(এম)-এর অভিরাম মাহাতো (৮৭৭২৭টি ভোট) ছিল নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী। মাত্র ৫৪৩৯টি ভোট পেয়ে তিন নম্বরে ছিলেন বিজেপি-র ধীমানকুমার কোলে। ২০১৬ সালেও এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জেতেন শ্রীকান্ত মাহাতো। সিপিএম-এর শ্যামসুন্দর পাণ্ডে ৬৭৫৮৩টি ভোট পান। বিজেপি প্রার্থী ধীমানবাবুর ভোট গতবারের থেকে অনেকটাই বেড়ে হয় ২৩৯৬৫। ধীমানবাবুকেই ২০২১-এ বিজেপির তরফে প্রার্থী করা হবে বলে জল্পনা চলছিল। কিন্তু বিজেপি রাজীব কুণ্ডুকে প্রার্থী করে। ধীমানবাবু তখন নির্দল হিসাবে ভোটে লড়ার জন্য মনোনয়ন জমা দেন। পরে অবশ্য তিনি মনোনয়ন তুলে নিয়েছেন।

আরও পড়ুন-আজ ৩ হাইভোল্টেজ সভা, বঙ্গে মোদী-মমতা, ওদিকে 'দিদি'র সমর্থনে রাজ্য়ে ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী...
 
শালবনি বিধানসভা ২০১৬-র ফল

 
জয়ী প্রার্থী- শ্রীকান্ত মাহাতো 
দল- তৃণমূল
প্রাপ্ত ভোট- ১২০৪৮৫
জয়ের মার্জিন-৫২৯০২ 
 
প্রার্থী
দল
ফল
প্রাপ্ত ভোট
শ্রীকান্ত মাহাতো
তৃণমূল
জয়ী
১২০৪৮৫
শ্যামসুন্দর পাণ্ডে
সিপিএম
পরাজিত
৬৭৫৮৩
ধীমান কোলে
বিজেপি
পরাজিত
২৩৯৬৫
গৌতম কাউরি
এসএইচএস
পরাজিত
৪৪০২
নোটা
-
পরাজিত
২৫৫১
 
 ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের নিরিখে এই বিধানসভা কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ২৬৫৩৯৫। ভোট পড়েছিল ২৩৫৬২১। ঝাড়গ্রাম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী বীরবাহা সোরেন এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ১১২৪৩১টি (৪৫.৪২) ভোট পেয়েছিলেন। বিজেপি প্রার্থী কুনার হেমব্রম পেয়েছিলেন ১০৩৭০৬টি ভোট। সিপিএমের দেবলীনা হেমব্রম পেয়েছিলেন ১১০২৪টি ভোট।
 

Share this article
click me!