শমিকা মাইতি, প্রতিনিধি- যুবসমাজ জাতির স্তম্ভ। ভারতের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৬৫ শতাংশের বয়স ৩৫ বা তার নীচে। এই যুবক-যুবতীরাই আগামী দিনে দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে যাবে বলে আশা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। এই লক্ষ্যে যুবসমাজের জন্য বেশ কিছু উন্নয়নমূলক প্রকল্প চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
আরও পড়ুন- শিল্পায়নে নাকি ব্যর্থ মমতা, এই দাবি করে ২০২১-এর ভোটে ‘আসল পরিবর্তনে’র ডাক বিজেপির
• ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলা এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে সহজে লোন পাওয়ার জন্য রয়েছে যথাক্রমে পিএমজেডিওয়াই ও পিএমএমওয়াই স্কিম।
• ডিজিটাল ইন্ডিয়া গড়ার লক্ষ্যে এক লক্ষ কোটি টাকার স্কিম নিয়েছে কেন্দ্র। এর মধ্যে আড়াই লক্ষ গ্রামে ব্রডব্যান্ড সংযোগের জন্য খরচ ধরা হয়েছে ৩২ হাজার কোটি। ১ লক্ষ ৩০ হাজার গ্রামে পোস্ট অফিসের মাধ্যমে পাবলিক ইন্টারনেট অ্যাকসেস প্রোগ্রাম চালু করার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। ই-গভর্ন্যান্সের অঙ্গ হিসাবে সমস্ত সরকারি চাকরিতে যাতে অনলাইন আবেদন করা যায়, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ছোট গ্রাম এবং শহরগুলিতে স্থানীয় ছেলেমেয়েদের কম্পিউটারে ট্রেনিং দেওয়ার পরে বিপিও খুলে চাকরির বন্দোবস্ত করতে উদ্যোগী হয়েছে কেন্দ্র।
আরও পড়ুন- খুনের সন্ত্রাস ও মাফিয়ারাজই তৃণমূলের সংস্কৃতি, বিস্ফোরক কৈলাস বিজয়বর্গীয়
• যুবশক্তির মধ্যে কর্মক্ষমতা তৈরি করতে না পারলে অর্থাৎ দক্ষ শ্রমিক না হলে লাভ নেই। তাই ন্যাশনাল স্কিল ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনের সাহায্যে ইউথ কেয়ার ডেভলপমেন্ট স্কিমে (পিএমকেভিওয়াই) যুবক-যুবতীদের বিভিন্ন কাজে দক্ষ করে তোলার জন্য বিশেষ ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রতি বছর ২৪ লক্ষ যুবককে ট্রেনিং দেওয়ার জন্য দেড় হাজার কোটি টাকা আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছে এই প্রকল্পে।
আরও পড়ুন- ভোটপ্রচারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপির অস্ত্র আমফান-কাঁটা
• সবসময় চাকরির আশায় বসে না থেকে যুবসমাজ যাতে ব্যবসা-বাণিজ্যে উদ্যোগী হয় তার জন্য রয়েছে নিউ এন্ট্রিপ্রেনিওর ডেভলপমেন্ট স্কিম। লক্ষ্য স্টার্ট-আপসে উৎসাহ দেওয়া। এই ব্যবস্থায় যেমন থাকছে মোবাইল অ্যাপের সাহায্যে এক দিনের মধ্যে ই-রেজিস্ট্রেশনের সুবিধা তেমনই প্রথম তিন বছর লাভের অঙ্কে করছাড়ের আশ্বাস। স্টার্ট-আপসে উৎসাহ দেওয়ার জন্য দশ হাজার কোটি টাকার পৃথক ফান্ড রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী।
• স্কুলছুটদের কর্মসংস্থানের জন্য রয়েছে বিশেষ প্রকল্প মাইনিওরিটি ইয়ুথ এমপাওয়ারমেন্ট ‘নাই মঞ্জিল’। এই প্রকল্পে ৯-১২ মাসের ট্রেনিং দিয়ে স্কিল তৈরি করা হবে। দারিদ্রসীমার নীচে থাকা ১৭-৩৫ বছর বয়সী স্কুলছুটেরা আবেদন করতে পারবে এই প্রকল্পে।
• সংখ্যালঘু পরিবারের (মুসলিম, খ্রিষ্টান, শিখ, জৈন, পার্শী) মেধাবী ছাত্রদের উচ্চশিক্ষায় উৎসাহ দেওয়ার জন্য রয়েছে এডুকেশন স্কলারশিপ ফর মাইনরিটি ইয়ুথ প্রকল্প। ৩০ শতাংশ কোটা রযেছে মেয়েদের জন্য। ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মতো কোর্স ছাড়াও আইন, ফ্যাশন টেকনোলজি, ফার্মা, মেডিক্যাল, প্যারা মেডিক্যাল, হোটেল ম্যানেজমেন্টের মতো বিষয়গুলিতেও স্কলারশিপ পাওয়া যাবে এই প্রকল্পে। তবে আবেদনকারীর পরিবারের বার্ষিক আয় যেন আড়াই লক্ষ টাকার কম হয় এবং পরীক্ষায় নিদেনপক্ষে ৫০ শতাংশ নম্বর থাকে। প্রতি বছর ১৫ জুলাই থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত স্কলারশিপের আবেদন করা যায় scholarships.gov.in সাইটে।