যত দিন যাচ্ছে, ততই বাঘমুন্ডির বিধায়ক সুশান্ত মাহাতোর হাত ধরে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি থেকে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ঘাসফুল শিবিরে আসার ভিড় বাড়ছে। বুধবারও, কংগ্রেস, বিজেপি, ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে ৫০০ পরিবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেমন তৃণমূল কংগ্রেসে ছাড়ার ধূম পড়েছিল, নির্বাচনের পর তেমনই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের উন্নয়নের গতিতে সামিল হওয়ার পর্ব চলছে। সামনেই পৌরসভা নির্বাচন। বিধানসভার পর পৌরসভাতেও জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে চায় তৃণমূল। সেই লক্ষ্য়েই রাজ্যের বিভিন্ন পৌরসভা অঞ্চলে শুরু হয়েছে তৃণমূলে যোগদানের খেলা। পিছিয়ে নেই পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডি এলাকার ঝালদাও। যত দিন যাচ্ছে, ততই বাঘমুন্ডির বিধায়ক সুশান্ত মাহাতোর হাত ধরে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি থেকে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ঘাসফুল শিবিরে আসার ভিড় বাড়ছে। বুধবারও, কংগ্রেস, বিজেপি, ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে ৫০০ পরিবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেন।
এই বিষয়ে ঝালদা শহর তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি দেবাশীষ সেন জানান, যোগদানের তালিকায় রয়েছেন, ৮ নং ওয়ার্ড কংগ্রেসের নেতা সোমনাথ কর্মকার , ৫ নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন কংগ্রেসী কাউন্সিলার সুদীপ কর্মকার, ৭ নং ওয়ার্ডের ফরওয়ার্ড ব্লক প্রাক্তন কাউন্সিলার শেখ খলিল, ১১ নং ওয়ার্ডের বিজেপি নেতা কার্তিক কুইরি। শুধু নেতারাই নন, তাদের সঙ্গে শিবিরবদল করেছেন তাদের অনুগামী-সমর্থকরাও। সব মিলিয়ে প্রায় ৫০০ পরিবার এদিন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছেন। কোনও রকম রাখাঢাক না রেখেই দেবাশীষ সেন বলেছেন, এখন তৃণমূলের লক্ষ্য ঝালদা পৌরসভা, তাই পরবর্তী সময়ে ই ধরণের আরও যোগদান হবে।
অন্যদিকে, এদিন শিবির বদলানো ঝালদা পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের সদ্য প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা সোমনাথ কর্মকার জানান, 'দিদির উন্নয়নের গতি দেখে, দিদির উন্নয়নে সামিল হতে তথা ঝালদায় তৃণমূলের হাত শক্ত করতেই বিধায়ক সুশান্ত মাহাতোর হাত ধরে আজ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলাম।'
আরও পড়ুন - 'ভুল বুঝে' দলবদল করেছিলেন, ফের তৃণমূলে পুরুলিয়ার একাধিক বিজেপি নেতা
আরও পড়ুন - রাজ্যে অব্যাহত দলবদল, কংগ্রেস ও বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ ২০০ জনের
প্রসঙ্গত, গত রবিবার, ২৫ জুলাই তারিখে বাঘমুন্ডির বিধায়কের হাত ধরেই ঝালদা ১ নম্বর ব্লকের ইচাগ কড়াডি এলাকার ৪০টি পরিবারের প্রায় ২০০জন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। তারা সকলেই আগে বিজেপি এবং কংগ্রেস করতেন। ওই দিনই সুশান্ত মাহাতো সাফ জানিয়েছিলেন গত ১০ বছর ধরে বাঘমুন্ডি বিধানসভা কংগ্রেসের দখলে থাকায়, এলাকার উন্নয়নের কাজ থমকে ছিল। এবার বাঘমুন্ডি বিধানসভা 'দিদির হাতে' তুলে দেওয়া হয়েছে। তাই এবার এলাকায় উন্নয়ন হবে। তাই বাঘমুন্ডির সব দলের রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদেরও নিজ নিজ দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। তারপরই এদিনের যোগদানের ঘটনা ঘটল।