খারাপ আবহাওয়া এবং পূর্ণিমার কোটালের জোড়া ফলায় দিঘায় সমুদ্র এখন ভয়ঙ্কর। প্রশাসনের নিষেধকে তোয়াক্কা না করেই স্নান করতে নেমে জলে তলিয়ে গেলেন কলকাতার বাসিন্দা।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট হয়েছে জোরালো নিম্নচাপ। এর জেরে দফায় দফায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে পর্যটনকেন্দ্র দিঘায়। যেসব পর্যটক চলতি সপ্তাহে দিঘায় বেড়াতে গেছেন, তাঁদের সতর্ক করছে প্রশাসন। কিন্তু ঝড় বৃষ্টির পূর্বাভাস, আর পূর্ণিমার কোটালের জলের তোড়ের আশঙ্কা করে হাজার প্রচার চালিয়েও শেষরক্ষা হলো না। দিঘায় বেড়াতে গিয়ে প্রাণ হারালেন এক পর্যটক। মৃতের নাম কল্যাণ দাস, বয়স ৪৮ বছর।
দিঘা প্রশাসনের তরফ থেকে আবহাওয়া দফতরের সতর্কতা মেনে রবিবার সকাল থেকেই শুরু হয়ে গেছে মাইকিং। দিঘা পুলিশ ও মৎস্য দফতরের তরফ থেকে সতর্ক করা হচ্ছে পর্যটকদেরও। সমুদ্রে নামতে একেবারেই বারণ করছে প্রশাসন। উপকূল এলাকায় নিম্নচাপ ঘনীভূত হওয়ার জেরে ৮-১১ অগস্ট পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে মৎস্য শিকারেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সকাল থেকে সৈকত শহরের আকাশ ঘন কালো মেঘে পরিপূর্ণ, সঙ্গে বৃষ্টিও হচ্ছে দফায় দফায়। এরই মধ্যে ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা!
দক্ষিণ কলকাতার চারু মার্কেট থানা এলাকার বাসিন্দা কল্যাণ দাস পরিবার সহ বন্ধুবান্ধব নিয়ে শনিবার বেড়াতে যান দিঘায়। রবিবার সকালে ওল্ড দিঘা সি-হক গোলার ঘাটে সঙ্গীসাথিদের সাথে সমুদ্র সৈকতে আসেন তিনি। সমস্ত বন্ধুরা বসে ছিলেন সমুদ্র থেকে দূরে একটি গার্ডওয়ালের উপরে। কিন্তু, কল্যাণ দাস সেসময়ে একাই সমুদ্রে স্নান করতে নেমে যান।
পরিবারের সদস্যদের দাবি, কিছুক্ষণ অবধি তাঁকে বিশাল বিশাল ঢেউয়ে স্নান করতে দেখা গেলেও কিছুটা সময় পেরোতেই তাঁকে আর দেখা যায়নি। বেশি দূর এগোতেই পারেননি তিনি। তার আগেই ভয়ঙ্কর স্রোতে তলিয়ে যান। সঙ্গে সঙ্গে খোঁজাখুঁজি শুরু হয় সমুদ্র সৈকতে। এরপর পরিবার লোকজন ও বন্ধুরা মিলে আঞ্চলিক থানায় খবর দেন। তাঁকে খুঁজতে সমুদ্রে নামানো হয় নুলিয়াও। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাঁকে জল থেকে উদ্ধার করা হয়। সমুদ্র থেকে তুলে দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন-
দিঘা-হাওড়া রুটে ছুটবে আরও ট্রেন, অবশেষে বাংলা পক্ষের দাবি মানল রেল
তেলিয়া ভোলায় খুলল কপাল, লক্ষ লক্ষ টাকায় বিক্রি হল ৬টি মাছ
দিঘার মোহনায় তেলিয়া ভোলা বিক্রি হল ১৩ লক্ষ টাকায়, জানুন কেন এত দাম হয় এই সামুদ্রিক মাছের