আগামী ১২ ও ১৩ অগাস্ট প্রতীকী ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। তবে রাজ্য সরকার ট্যাক্সির ভাড়া না বাড়ালে আগামী দিনে ৭২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ট্যাক্সি ইউনিয়নের সম্পাদক বিহল গুহ।
বেশ অনেকদিন আগেই পেট্রোলের দাম সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে। পিছু পিছু সেই দিকেই এগোচ্ছে ডিজেলও। এই পরিস্থিতিতে ভাড়া বৃদ্ধি দাবি জানিয়েছে বাস মালিক সংগঠনগুলি। আর এবার ভাড়া বৃদ্ধির দাবি আরও জোরাল করল ট্যাক্সি সংগঠনগুলি। ভাড়া না বাড়ালে কলকাতায় ট্যাক্সি ধর্মঘটের হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তারা।
আগামী ১২ ও ১৩ অগাস্ট প্রতীকী ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। তবে রাজ্য সরকার ট্যাক্সির ভাড়া না বাড়ালে আগামী দিনে ৭২ ঘণ্টার ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ট্যাক্সি ইউনিয়নের সম্পাদক বিহল গুহ। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, পরিবহন দফতরকে এনিয়ে লিখিতভাবে চিঠি দেওয়া হয়েছে কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সংগঠনের দাবি, প্রথম দু'কিলোমিটারের জন্য ভাড়া বাড়িয়ে ৫০ টাকা করতে হবে। এখন ট্যাক্সিতে উঠলেই দিতে হয় ৩০ টাকা। সেখান থেকে ভাড়া বাড়িয়ে ৫০ টাকা করার দাবি জানিয়েছে তারা। এছাড়া তারপর প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া করতে হবে ২৫ টাকা।
প্রতি দু-একদিন অন্তরই বাড়ছে তেলের দাম। এই পরিস্থিতিতে জ্বালানির দাম বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে ট্য়াক্সির ভাড়া না বাড়ালে ট্যাক্সি চালানোই অসম্ভব হয়ে পড়বে বলে সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে। এদিকে তেলের দাম বাড়ার কারণ দেখিয়ে একলাফে গত মাসেই ১৫ শতাংশ ভাড়া বাড়িয়েছিল অ্যাপ ক্যাবগুলি। কিলোমিটার পিছু ১০ টাকার পরিবর্তে ভাড়া বাড়িয়ে ১৪ টাকা ৭০ পয়সা করা হয়।
এর আগে ভাড়াবৃদ্ধির দাবিতে ২৬ জুলাই ধর্মঘট ডেকেছিল ট্যাক্সি সংগঠনগুলি। ওই দিন হলুদ ট্যাক্সির পাশাপাশি শহরে মেলেনি অ্যাপ ক্যাবও। রাজ্যে করোনার গ্রাফ এখন আগের থেকে অনেকটাই নিম্নমুখী। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত জারি রয়েছে বিধিনিষেধ। যদিও বেশ কিছুক্ষেত্রে ছাড় ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাস, অটো, টোটো, ট্যাক্সি, মেট্রো চলাচলের উপর ছাড় দিয়েছেন তিনি। যদিও জ্বলানির দাম বৃদ্ধির ফলে লাভের মুখ দেখতে পাচ্ছেন না ট্যাক্সি ও বাস মালিকরা। বাসের ভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন বাসমালিকরা।
আরও পড়ুন- জেলের মধ্যেই দামী সোফা-সিগারেট-মোবাইল, বহাল তবিয়তে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ দাগী আসামী
ভাড়া বৃদ্ধি প্রসঙ্গে ফিরহাদ বলেন, "আমাদের দেশ যখন জ্বলছে তখন শোনা যাচ্ছে মন কি বাত। শুধুমাত্র ট্যাক্সি ভাড়া বাড়ালেই হবে না। সাধারণ মানুষ তা দিতে পারবেন কিনা সেটাও দেখতে হবে সরকারকে। ইলেকট্রিক ভিকেলসের উপর বেশি জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার। যাতে আগামী দিনে পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি কারণে যানবাহন চালাতে কোনও সমস্যা না হয়। আশা করি ছয় মাসের মধ্যে সব কিছুই তৈরি করা সম্ভব হবে।"