খোলা মাঠে নয়, ক্যানিং-এ নবনির্মিত বৈদ্যুতিন চুল্লিতে এবার করোনায় মৃতদের দেহও সৎকার করার সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন। চুল্লিটি পরিদর্শনের পর মহকুমাশাসকের দপ্তরে বৈঠকও করেছেন স্থানীয় বিধায়ক, জেলা পরিষদ সদস্য ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিকরা। ক্যানিং স্টেডিয়ামে অস্থায়ী কোভিড হাসপাতালে তৈরির কাজও চলছে জোরকদমে।
আরও পড়ুন: 'দোষ' ভাই করোনা হাসপাতালের ডাক্তার, প্রতিবেশীদের রোষে বেধড়ক মার খেলেন দাদা
যতদিন যাচ্ছে, করোনা পরিস্থিতি ততই ঘোরালো হয়ে উঠছে। সংক্রমণের রুখতে গিয়ে কার্যত নাজেহাল অবস্থা প্রশাসনের। স্রেফ সাধারণ মানুষ বা পরিযায়ী শ্রমিকেরাই নন, সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন পুলিশ ও প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধিরাও। আর মৃত্যু? আগের তুলনায় প্রাণহানির ঘটনা অনেকটাই কমেছে। কিন্তু করোনা চিকিৎসার সকলেই যে সেরে উঠছেন, তা কিন্তু নয়। বস্তুত, গত কয়েকদিনে ক্যানিং-এর কোভিড হাসপাতালের মৃত্যু হার উর্ধ্বমুখী বলেই জানা গিয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, সরকারি নির্দেশ মেনে এখন করোনা মৃতদেহ সৎকার করা হচ্ছে কলকাতায়, ধাপার মাঠে। কিন্তু ঘটনা হল, ক্যানিং থেকে দেহগুলি ধাপায় পাঠাতে সময় যেমন লাগছে, তেমনি খরচও হচ্ছে বেশি। আবার কোনও কারণে যদি দেহগুলি দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকে, সেক্ষেত্রে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা ষোলোআনা। তাহলে উপায়? দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলাশাসকের নির্দেশে আরও কয়েকদিনের মধ্যে ক্যানিং স্টেডিয়াম লাগোয়া নবনির্মিত বৈদ্যুতিন চুল্লিতে করোনায় মৃতদের দেহ সৎকার করা হবে।
আরও পড়ুন: সপ্তাহে দু’দিনের সম্পূর্ণ লকডাউন নিয়ে নির্দেশিকা, দেখে নিন কী কী বন্ধ, কোথায় মিলছে ছাড়
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারিতে দক্ষিণ ২৪ পরগণার পাথরপ্রতিমায় প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন ক্যানিং মহকুমায় একটি বৈদ্যুতিন চুল্লির উদ্বোধন করেন তিনি। করোনা পরিস্থিতিতে এখনও সেই চুল্লিটি চালু করা যায়নি। এবার সেই কাজে গতি আনার জন্য মঙ্গলবার চুল্লিটি পরিদর্শন করেন স্থানীয় বিধায়ক, জেলা পরিষদ সদস্য ও স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকরা। প্রশাসনের উদ্যোগে খুশি সাধারণ মানুষ।