সরকারি রাজস্ব আদায়ের নামে তোলা আদায়, পথ অবরোধ লরি মালিকদের বীরভূমে । সরকারি রাজস্ব আদায়ের নামে তোলাবাজির অভিযোগে হাতে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলনে নামল লরি মালিকরা।
সরকারি রাজস্ব ( Government Revenue )আদায়ের নামে তোলা আদায়। পথ অবরোধ লরি মালিকদের বীরভূমে । সরকারি রাজস্ব আদায়ের নামে তোলাবাজির অভিযোগে হাতে তৃণমূলের পতাকা নিয়ে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলনে নামল লরি মালিকরা। লরি মালিক মফিজুল ইসলাম বলেন,'প্রতিমাসে ছ’কোটি টাকার বেশি আদায় হয়। অথচ সেই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হয় না। আমরা চাই রাজস্বের নামে ওঠা সমস্ত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হোক। তাতে রাজ্যের উন্নয়ন হবে'। খবর পেয়ে এলাকায় পুলিশ (Police) গেলে লরি মালিকরা তাদের ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান। পুলিশ লাঠি উঁচিয়ে অবরোধ হঠিয়ে দেয়।
প্রসঙ্গত, বীরভূম জেলায় শিল্প বলতে পাথর শিল্প। জেলার রাজগ্রাম, নলহাটি, রামপুরহাট, শালবাদরা, পাঁচামি এবং সিউড়িতে ছ’টি রাজস্ব আদায়ের গেট রয়েছে। ওই গেট গুলিতে ভূমি ও ভূমি রাজস্ব কর্মীদের দিয়ে নির্দিষ্ট রশিদের মাধ্যমে রাজস্ব আদায় করার কথা। কিন্তু জেলার কোন গেটেই সরকারি কর্মী থাকে না। ওই গেট গুলি এক কথায় শাসক দলের ছত্রছায়ায় থাকা কিছু নেতাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ওই গেট গুলিতে সরকারি রশিদ কাটেন কিছু দুষ্কৃতী। হাতে মোটা মোটা বাঁশ নিয়ে লরি থামিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা নেওয়া হয়। এমনকি সরকারিভাবে নির্ধারিত মূল্যের থেকে অনেক বেশি টাকা জোর করে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এনিয়ে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন সময় আন্দোলন হয়েছে। কিছুদিন পর আবার সব চুপচাপ। এবার বিক্ষোভ দেখালেন রাজগ্রাম এলাকার লরি ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন, ভুয়ো জন্ম শংসাপত্রের পর্দা ফাঁস, ডাকাতি-সহ জোড়া অপরাধের কিনারা করল বিধাননগর পুলিশ
লরি মালিক মফিজুল ইসলাম বলেন, “আগে লরি পিছু আড়াই হাজার টাকা রাজস্ব জমা দিতাম। এখন সেই রাজস্ব বেড়ে পাঁচ হাজার হয়ে গিয়েছে। সরকারি রাজস্ব আদায় করছে মস্তান বাহিনী। আমরা চাই অনলাইনে রাজস্ব নেওয়া হোক। প্রতিটি গেটে সরকারি আধিকারিক থেকে রাজস্ব আদায় করা হোক। কোনও মস্তানের হাতে আমরা রাজস্ব দেব না। এই গেট থেকে প্রতিমাসে ছ’কোটি টাকার বেশি আদায় হয়। অথচ সেই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হয় না। আমরা চাই রাজস্বের নামে ওঠা সমস্ত টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হোক। তাতে রাজ্যের উন্নয়ন হবে”। জেলা ভূমি ও ভূমি রাজস্ব আধিকারিক অসীম পাল বলেন, “আমরা লোক পাঠিয়েছি। যা বলার জেলা শাসক বলবেন”।
জেলা শাসক বিধান রায় বলেন, ‘সরকারি টোল কোন বাইরের লোক থাকতে পারে না। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে”।