যে কোনও মুহূর্তে করোনার কবলে, জাপান থেকে কাতর আর্জি বাঙালি জাহাজকর্মীর

Published : Feb 08, 2020, 12:48 AM IST
যে কোনও মুহূর্তে করোনার কবলে, জাপান থেকে কাতর আর্জি বাঙালি জাহাজকর্মীর

সংক্ষিপ্ত

জাপানে জাহাজে আটকে রয়েছেন বাঙালি যুবক জাহাজের মধ্যেই আতঙ্কে দিন কাটছে উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দার জাহাজে অনেক ভারতীয় আটকে রয়েছেন বলে দাবি  

জাপানে চাকরি  করতে গিয়ে করোনা ভাইরাস- এ আক্রান্ত হওয়ার আতঙ্ক। নিরাপদে দেশে ফিরতে ফেসবুক- এ পোস্ট করলেন উত্তর দিনাজপুরের এক যুবক। পেশায় একটি বেসরকারি জাহাজের কেবিন ক্রু ওই যুবকের দাবি, যে জাহাজে তিনি রয়েছেন তার মোট ৬১ জন কর্মী এবং আরোহী ইতিমধ্য়েই করোনা ভাইরাস- এ আক্রান্ত। ফলে যে কোনও মুহূর্তে তিনিও মারণ জীবাণুতে আক্রান্ত হতে পারেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ওই যুবক। ফেসবুকে এই নিয়ে কাতর কন্ঠে ভি়ডিও পোস্ট করেছেন তিনি। 

ভিডিও বার্তায় ওই বাঙালি যুবক জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে তাঁদের জাহাজ জাপানের ইয়কোহামা বন্দরে রয়েছে। করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রুখতে সেখানে ওই জাহাজটিতে আলাদা করে রাখা হয়েছে।  ডায়মন্ড প্রিন্সেস নামে ওই জাহাজে মোট ১৬০ জন ভারতীয় কর্মী রয়েছেন বলে দাবি করেছেন উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দা ওই যুবক। তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বাঙালি রয়েছেন। যেভাবে জাহাজে থাকা কর্মী এবং যাত্রীদের মধ্যে করোনা ভাইরাস ছড়াচ্ছে, তাতে প্রবল উৎকন্ঠায় দিন কাটছে জাহাজের ভারতীয় কর্মীদের। মুখ্যমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে কাতর আবেদন করে ওই যুবক জানিয়েছেন,  'এখনও আমরা আক্রান্ত হইনি। কিন্তু আগামী দিনে হয়তো হয়ে যাব। আমাদের জীবন নিয়ে আমরা সংশয়ে রয়েছি। আমরা ১৬০ জন কর্মী এই জাহাজে রয়েছি। তার মধ্যে ৬২ জন কর্মী এবং যাত্রী করোনা ভাইরাস- এ আক্রান্ত। মুখ্যমন্ত্রী  ও প্রধাবমন্ত্রীকে আমাদের অনুরোধ, দয়া করে আমাদের এখান থেকে বের করে ভারতে ফেরার ব্যবস্থা করুন। আমাদের পরিবারও দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছে।'

ওই জাহাজ কর্মীর অভিযোগ, তাঁদের ভবিষ্যত নিয়ে কিছু বলছেই না জাহাজ সংস্থা। যে যাত্রী বা কর্মীদের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলছে, তাঁদের পৃথক স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। 

সোশ্যাল মিডিয়ায় বাড়ির ছেলের এমন কাতর  আবেদন দেখে উত্তর দিনাজপুরের বাড়িতেও প্রবল উৎকন্ঠা দেখা দিয়েছে। পরিবারের সদস্যরাও চাইছেন, আটকে পড়া সব ভারতীয়কেই জাহাজ থেকে উদ্ধারের চেষ্টা করুক সরকার। আটকে পড়া ওই জাহাজ কর্মীর দাদা বলেন, 'আমার ভাই প্রায় দশ বছর বিদেশে এই চাকরি করছে। কখনও এমন বিপদের মধ্যে পড়েনি। সরকার ওকে অবিলম্বে ফেরানো ব্যবস্থা করুক।' জেলা প্রশাসনের তরফে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, বিষয়টি নজরে আসার পরই রাজ্য সরকারকে জানানো হয়েছে।

PREV
click me!

Recommended Stories

উত্তুরে হাওয়ায় বঙ্গে শুরু শীতের ঝোড়ো ব্যাটিং, আর কতটা নামবে পারদ? রইল বিরাট আপডেট
লোকসভায় দাঁড়িয়ে কমিশনের কাছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর আর্জি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের, দেখুন কী বলছেন