মাটির প্রতিমা নয় ,লক্ষ্মীরূপে মেয়েকে পুজো করলেন মা

  • নিজের মেয়েকেই লক্ষ্মীর আসনে বসিয়ে পুজো করলেন মা 
  • পাঁচালি পড়ে পুজো শেষ করেন পুরোহিত
  • কুমারী পুজো হলে কুমারী লক্ষ্মী পুজো হবে না কেন 
  • খোদ পুরোহিতের মুখে শোনা গেল এই প্রশ্ন 

Asianet News Bangla | Published : Oct 13, 2019 11:40 AM IST / Updated: Oct 13 2019, 05:14 PM IST

মাটির প্রতিমা বা সড়া নয়, একেবারে নিজের মেয়েকেই লক্ষ্মীর আসনে বসিয়ে পুজো করলেন মা। পাঁচালি পড়ে পুজো শেষ করে পুরোহিত জানালেন,কুমারী পুজো হলে কুমারী লক্ষ্মী পুজো হবে না কেন।   

সংসারে মেয়ে জন্মাতেই ঘুঁচতে থাকে আর্থিক অনটন। সমৃদ্ধির মুখ দেখে বিশ্বাস পরিবার। সেই থেকেই মেয়েকে মনে প্রাণে দেবী লক্ষ্মীর রূপ মানেন মা। লক্ষ্মীপুজোতে তাই দেবী আরাধনার পাশাপাশি পুজো করলেন মেয়ের। পাড়া প্রতিবেশীদের সামনেই লক্ষ্মী রূপে পুজো নিল মেয়ে। এমনটাই ঘটেছে নদিয়ার মাজদিয়ার শিবনিবাস-এর ঝুমাশ্রী খাঁ বিশ্বাসের বাড়িতে। 

আরও পড়ুন : সেলিমকে পাল্টা তথাগতর,বিবেকানন্দ চাকরি না পেয়ে সন্ন্যাসী হয়েছিল

কেন এরকম ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত, যার উত্তরে ঝুমাদেবী জানান, নিজের মেয়েকে লক্ষ্মী মনে করেন। তাই মেয়েকে লক্ষ্মীর মতো সাজিয়ে বাড়ির লক্ষ্মীর আসনে বসিয়ে নিয়ম নিষ্ঠা মেনে পুজো করিয়েছেন। সমাজে কন্যা সন্তান জন্ম নেওয়া মানেই যে বোঝা নয়,তা বুঝাতেই তাঁর এই সিদ্ধান্ত। ঝুমাদেবীর মতে, এই মেয়েদের ঠিকভাবে মানুষ করলে সংসারে সমৃদ্ধি আসবেই। এদিকে এই ধরনের পুজো করতে পেরে নিজেকে ভাগ্য়বান মনে করছেন পুরোহিতমশাই। তিনি বলেন,কুমারী পূজা হলে কুমারী লক্ষ্মী পুজো শাস্ত্রে আছে। এই পুজো তাঁর কাছে একটা অন্যরকম অনুভূতি।

মেয়ে রূপকথাকে লক্ষ্মীরূপে পুজো করতে পেরে খুশি বাবা রমেশচন্দ্র বিশ্বাস। মেয়ের পুজো সেরে তিনি বলেন, সমাজে এখনও মেয়েরা অবহেলিত। এখনও তাঁদের আপদ, বিপদ বা দায়ভার হিসাবে দেখেন অভিভাবকরা। মেয়েকে পুজো করে আমি সেই সব অভিভাবকদের বলতে চাই, ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও আমাদের সম্পদ। তাদের যোগ্য মান দিন।

আরও পড়ুন : এক বিয়েতে মন ভরেনি, ফের বিয়েতে সুদীপ-প্রীতমা

এদিন সকাল থেকেই লাল পেড়ে শাড়ি, মাথায় টিকলি,মুকুট পরে বসেছিল ছোট্ট রূপকথা। দেবীর পুজো নিতে হাতে উঠেছিল পদ্মফুল। পাড়ার ছোট্ট রূপকথাকে লক্ষ্মী রূপে দেখতে তখন ভিড় উপচে পড়ছে বাড়িতে। যদিও পুরোহিত পুজো করার সময় একেবারে দেবীর মতোই আচরণ করল রুপকথা। অনেকক্ষণ বসে থাকতে হলেও মুখ থেকে বেরোল না কোনও বিরক্তি। ভ্রু কোচকানোর বদলে সারাক্ষণই মুখে ছিল এক চিলতে হাসি। যা দেখে পড়শিরাও বলছেন, লক্ষ্মী এসেছে ঘরে। 

  


 

Share this article
click me!