পুরভোটে ফের হাসি ফিরল বামেদের (CPIM)। আসন সংখ্যায় চতুর্থ, ঝুলিতে মাত্র একটি পুরসভা। প্রাপ্ত ভোটের শতাংশের হারে দ্বিতীয়। এবার তাতেই বেজায় খুশি বামেরা। পরপর তিনটি পুরভোটেই দ্বিতীয় স্থানে থাকায় রাজ্য রাজনীতিতে বিরোধী পরিসর দখলে আসছে বলেই মনে করছেন বামেরা। অন্যদিকে আবার প্রাপ্ত আসনের নিরিখে বামেদের থেকে বেশি হয়েও নিরাশ কংগ্রেস। কারণ সেনাপতির গড়ে ধস । আর তাতেই খুশির হাওয়া বামেদের। প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রতিবারের ভোটেই বামেদের জনসমর্থনের গ্রাফ ছিল নিম্নমুখী।। গত বিধানসভা ভোটে বামেদের অধঃপতন অনেকটাই হয়েছিল। আসন সংখ্যা হয় শূন্য এবং শতাংশের নিরিখে প্রাপ্ত ভোট নেমে আসে পাঁচ শতাংশে। সংগঠনের হাল ফেরাতে মরিয়া হয়ে ওঠেন কমরেড নেতারা। একদিকে পক্বকেশী নেতাদের চেয়ার কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি সংগঠনে তাজা রক্তের সঞ্চার ঘটনোর সিদ্ধান্ত নেয় আলিমুদ্দিনের ভোট ম্যানেজাররা।
পুরভোটে ফের হাসি ফিরল বামেদের (CPIM)। আসন সংখ্যায় চতুর্থ, ঝুলিতে মাত্র একটি পুরসভা। প্রাপ্ত ভোটের শতাংশের হারে দ্বিতীয়। এবার তাতেই বেজায় খুশি বামেরা। পরপর তিনটি পুরভোটেই দ্বিতীয় স্থানে থাকায় রাজ্য রাজনীতিতে বিরোধী পরিসর দখলে আসছে বলেই মনে করছেন বামেরা। অন্যদিকে আবার প্রাপ্ত আসনের নিরিখে বামেদের থেকে বেশি হয়েও নিরাশ কংগ্রেস। কারণ সেনাপতির গড়ে ধস । আর তাতেই খুশির হাওয়া বামেদের। প্রায় এক দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রতিবারের ভোটেই বামেদের জনসমর্থনের গ্রাফ ছিল নিম্নমুখী।। গত বিধানসভা ভোটে বামেদের অধঃপতন অনেকটাই হয়েছিল। আসন সংখ্যা হয় শূন্য এবং শতাংশের নিরিখে প্রাপ্ত ভোট নেমে আসে পাঁচ শতাংশে। সংগঠনের হাল ফেরাতে মরিয়া হয়ে ওঠেন কমরেড নেতারা। একদিকে পক্বকেশী নেতাদের চেয়ার কেড়ে নেওয়ার পাশাপাশি সংগঠনে তাজা রক্তের সঞ্চার ঘটনোর সিদ্ধান্ত নেয় আলিমুদ্দিনের ভোট ম্যানেজাররা।
এহেন পরিস্থিতিকে করোনার মহাসঙ্কটকালে রাস্তায় নামানো হয় রেড ভলেন্টিয়ার-দের। তারপর বিভিন্ন মহল্লায় মহল্লায় তৈরি হয় শ্রমজীবী ক্যান্টিন। এমনকী প্রার্থী তালিকাতেও বড় চমক আনা হয়। বয়স্কদের বদলে একেবারে সামনের সারিতে আনা হয় তরুণ তুর্কীদের (CPIM)। পার্টির আভ্যন্তরীণ সম্মেলনে এর প্রভাব বেশ জোরদার ভাবেই পড়ে। রাজ্যের প্রায় সব জেলাতেই নেতৃত্বে বদল হয়। সুশান্ত ঘোষের মতো নেতাদের জেলার দায়িত্বে নিয়ে আসা হয়। পরপর দুটো ভোটেই পদ্ম শিবিরকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয়স্থান দখল করে বামেরা। ১০৮ পুরসভায় রাজ্যে বিরোধী পরিসর দখলে মরিয়া ওঠে হয়ে বামেরা।
পুরভোটের রেজার্ল্টে যা দেখা যাচ্ছে, তৃণমূলকে টলাতে না পারলেও বিজেপির (BJP) থেকে ভোট শতাংশের বিচারে কিছুটা হলে এগিয়ে রয়েছে বামেরা। ১০৮টি পুরসভায় ৫৫ টি আসন পেয়েছে বাামেরা। অন্যদিকে বিজেপি যেখানে ১৩ শতাংশ মানুষের সমর্থন পেয়েছে সেখানে এক শতাংশ বেশি মানুষের ভোট পেয়েছে বামেরা। সিপিএম -এর রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র জানিয়েছেন, এটা জানাই ছিল তৃণমূলের বিরোধী একমাত্র বামেরাই। মানুষ বুঝতে পারছে চরম দুর্নীতিগ্রস্ত এই সরকারকে আমরাই হঠাতে পারি। তবে ছাপ্পা না হলে ফল আরও অনেক বেশি ভাল হতো। আগামী দিনে মানুষের সমর্থন আরও বাড়বে বলে আশা করেন তিনি। পরপর তিনটি পুরভোটে বামেরা জনসমর্থন বাড়াতে পারলেও সেই তিমিরেই কংগ্রেস। তবে অধীর গড় বলে দীর্ঘদিনের পরিচিত বহরমপুর পুরসভা কংগ্রেসের হাতছাড়া হওয়ায় হতাশ বিধানসভা। তবে প্রাপ্ত আসনের বিচারে বামেদের পিছনে ফেলেছে কংগ্রেস। কিন্তু বহরমপুর হাতছাড়া হওয়ায় বড় ধাক্কা খেয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।