শক্তি বাড়িয়ে এগিয়ে আসছে Cyclone Yaas, জেনে নিন ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় কী কী করবেন

  • সাইক্লোন যশ মোকাবিলায় একগুচ্ছ পদক্ষেপ 
  • জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর 
  • সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে 
  • জোর দেওয়া হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ের ওপর 

Asianet News Bangla | Published : May 24, 2021 2:25 PM IST

ক্রমশই শক্তিবাড়িয়ে উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় যশ (Cyclone Yaas)। বুধবার সন্ধ্য়ের দিকে এটি ১৫৫-১৬৫ কিলোমিটার গতিবেগে  স্থলভাগে প্রবেশ করতে পারে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তার আগে জেনে নিন ঘুর্ণিঝড় মোকাবিলায় কী কী করবেন আর কী কী করবেন না। 

কী কী করবেনঃ
টালির বাড়ি হলে দ্রুততার সঙ্হে হালকা করে সিমেন্ট দিয়ে শক্ত করে নিন। ভাঙা জানলা দরজা সারিয়ে নিন। 
ঘরের চার দিক থেকে মরা বা শুকিয়ে যাওয়ার গাছ কেটে ফেলুন বা সরিয়ে দিন। সাইনবোর্ড থেকে টিনের শিট বা ভেঙে যাওযার ইট সিমেন্টের দেওয়াল সরিয়ে ফেলুন।
কাঁচের জানালার পিছনে শক্ত কার্ডবোর্ড লাগিয়ে দিন। কাগজও আঠা দিয়ে লাগিয়ে দিতে পারেন। তাতে কাচ ভাঙলে তা ছিটকে গিয়ে কারও ক্ষতি করতে পারবে না। 
হাতের কাছে টর্চ হ্যারিকেন আর মোমবাতি রাখুন। 
পরিত্যক্ত ও জীর্ণপ্রায় বাড়ি থেকে অন্যত্র আশ্রয় নেওয়াই শ্রেয়। 
সমুদ্রতীরবর্তী নিচু অঞ্চল- যেখানে জলোচ্ছ্বাস বা প্লাবনের আশঙ্কা বেশি সেই সব স্থান পরিত্যাগ করে নিরাপদ আশ্রয়ের চলে যান। 
বাড়ি নিরাপদ স্থানে হলেও সরকারি নির্দেশ মেনে কাজ করুন।স্থানীয় প্রশাসন যদি বলে অন্যত্র আশ্রয় নিতে তাহলে তাই করুন। 
প্রবল বর্ষণের কারণে প্লাবনের আশঙ্কা রয়েছে। তাই আগে থেকেই সতর্ক হওয়া জরুরি। 
অতিরিক্ত খাবার, মূলত শুকনো খাবার ও দ্রুত তৈরি করা যায় এমন  খাবার মজুত রাখুন।  
টিভি রেডিও সংবাদপত্রে আবহাওয়া বুলেটিনে নজর রাখুন।
শিশু ও বয়স্কদের খাবার ও জলের যোগান বজায় রাখুন। 
সাইক্লোন বয়ে যাওয়ার সময় নিরাপদ আশ্রয়ে থাকুন। সরকারি নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত বাড়ি বা আশ্রয়স্থলের বাইরে বার না হওয়াই শ্রেয়। প্রায় আধঘণ্টা তাণ্ডব চালাতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। 
ঝুলন্ত বা অপ্রয়োজনীয় বৈদ্যুতিন তার দ্রুত সরিয়ে ফেলুন। সাহায্যের প্রয়োজন ছাড় আক্রান্ত এলাকা এড়িয়ে চলুন। 
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ  নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত জানান। 

কী কী করবেন নাঃ
গুজবে কান দেবেন না। 
উদ্ধারকারী দলের অনুমতি ছাড়া আশ্রয়স্থল ছাড়বেন না। 
ল্যাম্পপোস্ট থেকে ঝুলন্ত তারে কখনই হাত দেবে না। 
সাইক্লোন বয়ে যাওয়ার সময় হাওয়ার গতিবেগ যদি সাময়িক কমে যায় তাহলেও বাড়ি থেকে বার হবেন না। মনে রাখবেন এটি রীতিমত শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। 

সাইক্লোনের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিহতে পারে। তাতে চাষের ক্ষতি হতে পারে। কমিয়ে দিতে পারে মাটির উর্বরতা। গুরুত্বপূর্ণ কৃষিকাজ ব্যহত হতে পারে। তাই সাইক্লোন আসার আগেই যদি প্রয়োজন হয় তাহলে ফসল কেটে ঘরে তুলুন। বাঁধ আর খাল মেরামতি করে রাখাও জরুরি। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় দুটি হেলপ লাইন নম্বর চালু করেছে রাজ্য প্রশাসন। ২৫ মে থেকে সেগুলি চালু করা হবে। 
 

Share this article
click me!