আশা-যাওয়ার মাঝে আটকে বহু যাত্রী, ঘরে ফেরা হলেও অফিস ফেরা যাবে তো...

Published : Dec 15, 2019, 02:32 PM ISTUpdated : Dec 15, 2019, 02:38 PM IST
আশা-যাওয়ার মাঝে আটকে বহু যাত্রী, ঘরে ফেরা হলেও অফিস ফেরা যাবে তো...

সংক্ষিপ্ত

জ্বলছে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা সিএবি-র প্রতিবাদে বিপাকে কারা বিপর্যয়ের মুখে নিত্যযাত্রীরা সোমবার অফিস, একাধিক কর্মী আটকে মাঝ পথে

কর্মসূত্রে সারা সপ্তাহ বাড়ির বাইরে থাকা। শুক্রবার কিংবা শনিবার ঘরে ফেরার পালা। কোনও মতে পরিবারের সঙ্গে একটা দিন কাটাতে না কাটাতেই আবারও বেরিয়ে পড়া কর্মস্থালের উদ্দেশে। সঙ্গে চলে অপেক্ষা... আরও একটা সপ্তাহ, চলে প্রহর গোনার পালা। উল্টো দিকে থাকা পরিবারের চিত্রটাও একই। সপ্তাহভর কোনও মতে থাকা, আর শেষে বাড়ির ছেলে-মেয়ে-স্বামী-স্ত্রী ফেরার আনন্দে যেন ভরে ওঠে সংসার। 

আরও পড়ুনঃ সিএবি-র প্রতিবাদে অশান্ত রাজ্য, রবিবারও উত্তাল বিভিন্ন জেলা

কর্মজগতে পা রাখার পরই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়তে হয় অনেককেই। তবে ছুটি থাকলে বাড়ি ফেরা চাই। কিন্তু সেই পথেই অন্তরায় হয়ে দাঁড়াল বাংলার উত্তাল পরিস্থিতি। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে জ্বলতে থাকে বিভিন্ন এলাকা। বহরমপুর, মুর্শিদাবাদ, অসম সহ আরও অন্যান্য অঞ্চলে থাকা মানুষগুলোর পরিস্থিতি এমনটাই ছিল শুক্রবার। অফিস ছুটি হওয়া মাত্রই সামনে আসে পরিস্থিতির ভয়ালরূপ। চলছে না ট্রেন, নেই বাস। কোনও মতে রাস্তা করে নিয়ে বাড়ি ফিরতে রাত গরিয়ে ভোর। শনিবার মধ্যরাতে রেল পরিষেবা খানিক স্বাভাবিক হওয়াতে বাড়ি ফেরা হয় শনিবার ভোরে। তবে বাড়ি এসে মিলল না স্বস্তি। ক্রমেই উত্তাল হচ্ছে  বিভিন্ন এলাকা। মনের কোণে উঁকি দেয় প্রশ্ন, ফেরা যাবে তো, সোমবার কর্মস্থলে যোগ দেওয়া কী সম্ভব! 

আরও পড়ুনঃ প্রতিবাদের নামে তাণ্ডব, বিক্ষোভের জেরে রবিবারও বাতিল একাধিক ট্রেন

মনের কোণে জমে থাকে এমনই হাজারও প্রশ্ন। এভাবেই কেটে যায় একটা ছুটির দিন। রবিবার সকাল হতেই শুরু প্রস্তুতি। তখনই খবরের শিরোমানে উঠে আসতে থাকে একের পর এক বিক্ষোভের ছবি। জ্বলতে রাজ্যের একাধিক জেলা। তালিকাতে থাকা এলাকার সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। অনিশ্চয়তা নিয়েই বাড়ি থেকে আবারও বেড়িয়ে পড়া, গন্তব্য কর্মস্থল। ব্যাঙ্কের কর্মী, ডাক্তার, শিক্ষক সকলেরই একই অবস্থা। সোমবার সকালে হয়তো বিক্ষোভকারিদের মধ্যেই একজন ব্যাঙ্কে হাজির হবেন, হাজির হবেন ডাক্তারের কাছে, কিংবা শিশুটিকে পাঠাবেন বিদ্যালয়ে শিক্ষকের কাছে। সেখানে গিয়ে যাবে নিরাশ না হতে হয়, তাই ঘর ছাড়লেন এঁনারা। অথচ বিক্ষোভের মুখে পড়ে সেই মানুষগুলোরই নাজেহাল অবস্থা। ফিরতে চাইলেও আটকে তাঁরা মাঝ পথে। বিক্ষোভ মানেই স্বাধারণ মানুষের জীবন যাপন ব্যহত। অতএব শান্ত হক পরিস্থিতি, শান্তির বার্তাই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, সমাজের বিশিষ্টজনেরা। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক বার্তা এশিয়ানেট নিউজেরও।

PREV
click me!

Recommended Stories

Suvendu Adhikari: ‘এমন খেলা হয়েছে পিসি বাড়ি পালিয়েছেন!’ যুবভারতীর বিশৃঙ্খলা নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু
Today live News: India vs South Africa 3rd T20 - ধর্মশালায় ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা তৃতীয় টি-টোয়েন্টি, প্রথম একাদশে কারা সুযোগ পেতে পারেন?