করোনা আতঙ্কে 'ব্রাত্য' ভগবান, মা তারার আবির্ভাব তিথিতেও ভক্তদের ভিড় নেই তারাপীঠে

  • করোনা আতঙ্কে বদলে গেল চেনা ছবি
  • মা তারার আর্বিভাব তিথিতেও ভিড় নেই তারাপীঠে
  • চিরাচরিত রীতি মেনে দিনভর চলল পূজাপাঠ
  • মোবাইলে দেবী দর্শন করলেন অনেকেই
     

Asianet News Bangla | Published : Oct 30, 2020 2:50 PM IST

আশিষ মণ্ডল, বীরভূম:  করোনা আতঙ্কে ভগবানের থেকেও 'মুখ ফেরালেন' ভক্তেরাও! মা তারার আবির্ভাব তিথিতেও ভিড় জমল না তারাপীঠেও। মন্দির কর্তৃপক্ষের অবশ্য দাবি, মোবাইলে দেবীকে দর্শন করেছেন অনেকেই। 

আরও পড়ুন: সিভিক ভলান্টিয়ারের হাতে 'আক্রান্ত' ছেলে, বাঁচাতে গিয়ে মাথা ফাটল প্রৌঢ়ের

কথিত আছে, শারদীয়ার শুক্লা চর্তুদশীতেই তারাপীঠের  মা তারাকে দেখতে পান সাধক বশিষ্ঠ মুনি। তিনি স্বপ্নে দেবীর যে মূর্তি দেখেছিলেন, সেই মূর্তি দীর্ঘকাল ছিল মাটির নিচে। পরে মাটি থেকে সেই মূর্তি তুলে মূল মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করেন বণিক জয়দত্ত। প্রতিবছর শুক্লা চতুর্থীতে মা তারার আবির্ভাব দিবস হিসেবে পালন করা তারাপীঠে। শুক্রবারও চিরাচরিত রীতি মেনে মূল মন্দির থেকে বের করে বিগ্রহকে রাখা হয় বিরাম মঞ্চ বা বিশ্রামাগারে। অন্য বছর বিশেষ দিন ভক্তদের ভিড় উপচে পড়ে তারাপীঠে। কিন্তু এবার করোনা আতঙ্কে পূর্ণ্যার্থীরা তো দূর, আশেপাশের এলাকার মানুষও মন্দির চত্বরে আসেননি।

আরও পড়ুন: পর্বতারোহণে বিশ্ব আঙিনায় আরও উজ্জ্বল হল বাঙালির উপস্থিতি, একান্ত সাক্ষাৎকারে অমিত চৌধুরী

তারাপীঠ মন্দির কমিটির সভাপতি তারাময় মুখোপাধ্যায় বলেন,  'প্রাচীন ঐতিহ্য মেনে চর্তুদশীর দিন ভোরে প্রতিবছর মা তারাকে মূল মন্দির থেকে বের করে বিরামখানায় আনা হয়। সেখানেই মা'কে স্নান করিয়ে পুজার্চনা করা হয়। বছরের এই একটি দিন মায়ের কোন ভোগ হয় না। উপবাস থাকেন সেবাইতরাও। রাতে মায়ের কাছে ফুলের ডালি দিয়ে ভোগ নিবেদন করা হয়। তারপর সেবাইতরাও অন্নগ্রহণ করেন।' শুধু তাই নয়, একমাত্র আবির্ভাব তিথিতেই বিগ্রহ স্পর্শ করে পুজো দিতে পারেন ভক্তেরা।


 

Share this article
click me!