২০২২-এর উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট বেরোনোর পরেই অভিজিৎ তাঁর প্রিয় সাবজেক্ট পরিব্যয় নির্ণয় ও কর আইনে প্রাপ্ত নম্বর নিয়ে সংশয় বোধ করেন | তারপরেই ডোমজুড়ের ডিউক স্কুলের শিক্ষকদের সাহায্যে নিজের খাতা রিভিউতে পাঠান। দ্বিতীয়বার স্কুল থেকে রেজাল্ট পেয়েই আনন্দে আত্মহারা ওই ছাত্র।
পরীক্ষায় খাতায় আশানুরূপ নম্বর না পেলে রিভিউ করতে দেওয়া প্রত্যেক বছরেরই চিরপরিচিত ঘটনা। কিন্তু, পরীক্ষার খাতা রিভিউ করে নম্বর বেড়ে একেবারে মেধাতালিকায় জায়গা করে নেওয়ার ঘটনা পশ্চিমবঙ্গে বিরলতম। এবার সেই ঘটনারই সাক্ষী থাকল বঙ্গবাসী।
রাজ্যে এই প্রথমবার পরীক্ষার খাতা রিভিউ করে মেধা তালিকায় স্থান পেল উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র অভিজিৎ পাল। সত্যিই এ এক নজিরবিহীন ঘটনা। রিভিউ করে এর আগে অনেক ছাত্রই বেশি নম্বর পেয়েছিলেন। তবে রিভিউয়ের পর নম্বর বেড়ে মেধা তালিকায় স্থান পাওয়ার ঘটনা বাংলায় প্রথম।
১০ জুন ২০২২ সালের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষিত হয়। নিজের রেজাল্ট হাতে পেয়ে তাঁর প্রাপ্ত মোট ৪৮৩ নম্বর দেখে একেবারেই খুশি হননি হাওড়ার ডোমজুড়ের ছাত্র অভিজিৎ। তাঁর মা সবিতা পালের বক্তব্য, পরীক্ষার পর ছেলের দারুণ আত্মবিশ্বাস ছিল যে রেজাল্ট খুব ভাল হবে, কিন্তু রেজাল্ট পেয়ে নিজের প্রাপ্ত নম্বর দেখে ও একদমই মেনে নিতে পারেনি। মন খারাপ ছিল অভিজিতের।
১০ জুন রেজাল্ট বের হলে তার কয়েক দিন পর মা-বাবা ও শিক্ষক শিক্ষিকাদের সহযোগিতায় পরীক্ষার খাতা রিভিউ করানোর জন্য আবেদন করেন অভিজিৎ পাল। খাতা রিভিউ হতেই কেল্লাফতে! বাজিমাত করে ফেললেন হাওড়া ডোমজুড়ের উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র অভিজিৎ পাল | এক নিমেশে তিনি পৌঁছে গেলেন ২০২২ সালের পশ্চিমবঙ্গের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার মেধাতালিকায়। রাজ্যের মধ্যে নবম স্থানে উঠে এলেন ডোমজুড়ের অভিজিৎ পাল।
২০২২-এর উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট বেরোনোর পরেই অভিজিৎ তাঁর প্রিয় সাবজেক্ট পরিব্যয় নির্ণয় ও কর আইনে প্রাপ্ত নম্বর নিয়ে সংশয় বোধ করেন | তারপরেই ডোমজুড়ের ডিউক স্কুলের শিক্ষকদের সাহায্যে নিজের খাতা রিভিউতে পাঠান। দ্বিতীয়বার স্কুল থেকে রেজাল্ট পেয়েই আনন্দে আত্মহারা ওই ছাত্র। প্রথমবার তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৪৮৩। রিভিউ করানোর পর দ্বিতীয়বার ৭ নম্বর বেড়ে ৪৯০ নম্বর পেয়ে নবম স্থানে উঠে এলেন অভিজিৎ পাল।
অভিজিতের স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানিয়েছেন, প্রথম থেকেই মেধাবী ছাত্র অভিজিৎ পাল, বাড়িতে সকাল-সন্ধ্যা এবং স্কুল ছুটি থাকলে দুপুর বেলাতেও পড়তে বসতেন তিনি। অভিজিৎ নিজে জানিয়েছেন, শীতকালে রাত জেগে পড়তে বেশি ভালো লাগত। প্রতিদিন ৮ থেকে ৯ ঘন্টা সময় পড়ার জন্য বরাদ্দ থাকত তাঁর। যদিও ক্রিকেট খেলতে ভালো লাগলেও লকডাউনের সময় থেকে আর খেলা হয়নি। তবে, টিভিতে খেলা দেখতে ভীষণ ভালো লাগে, সেই সঙ্গে সময় পেলে পছন্দের গান শোনার শখ রয়েছে। ইংরেজি বিষয় নিয়ে পড়তে চান তিনি, কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন অভিজিৎ।
আরও পড়ুন-
পাশের দাবিতে বিকাশ ভবন অভিযান ফেল করা ছাত্রীদের, মাজদিয়া স্কুলের পড়ুয়াদের থামাল পুলিশ
মাছ-বিক্রেতার মেয়ের সাফল্যের কাহিনি, আভাবে বাড়ি বাড়ি বাসন মেজেও উচ্চ মাধ্যমিকে সপ্তম রীতা
উচ্চ মাধ্যমিকে ষষ্ঠ রহড়া রামকৃষ্ণ মিশনের 'অলরাউন্ডার' অরিত্র