করোনা পরিস্থিতিতে পর্যটক টানতে নয়া উদ্যোগ নিল দিঘা-শংকরপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন। হোটেলের ঘরের দাম এখন অনেকটাই কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ঘর ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে স্পেশাল অফার দিচ্ছে হোটেলগুলি।
সপ্তাহান্তে বাঙালির দিঘা যাওয়া লেগেই থাকত। সময় পেলেই অনেকে পৌঁছে যেতেন দিঘার সমুদ্র সৈকতে। কিন্তু, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বদলেছে সেই অভ্যাস। এখন মনে ইচ্ছে আর হাতে সময় থাকলেও সহজে যেখানে সেখানে যাওয়া একেবারেই সম্ভব হচ্ছে না। তবে করোনার সংক্রমণ একটু কম থাকায় ঘুরতে বেরিয়ে পড়ছিলেন অনেকেই। তারপর পর্যটকদের উদাসীন মনোভাব দেখে ফের কড়াকড়ি করে দেয় প্রশাসন। ফলে এখন আর সহজে দিঘায় যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট ও টিকার দুটি ডোজ সবই প্রয়োজন হচ্ছে। এর ফলে ধীরে ধীরে ভিড় কমছে দিঘায়। এই পরিস্থিতিতে পর্যটক টানতে নয়া উদ্যোগ নিল দিঘা-শংকরপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন।
আরও পড়ুন- তৃণমূলের জমানায় প্রথমবার, হিডকোর চেয়ারম্যান হলেন 'মন্ত্রী' ফিরহাদ হাকিম
আরও পড়ুন- ৫০ শতাংশ দর্শক নিয়ে খোলা যাবে সিনেমা হল, নির্দেশ নবান্নের
হোটেলের ঘরের দাম এখন অনেকটাই কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ঘর ভাড়া দেওয়ার ক্ষেত্রে স্পেশাল অফার দিচ্ছে হোটেলগুলি। এ প্রসঙ্গে দিঘা-শংকরপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, "হোটেলের যে ঘর ভাড়া নিতে আগে ২ হাজার টাকা লাগত। এখন সেই ঘরই পাওয়া যাচ্ছে ১৫০০ থেকে ১৭৫০ টাকায়। আর আগে যে ঘর ১৫০০ টাকায় মিলত। এখন সেই ঘর ভাড়া নিলে দিতে হবে ১০০০ থেকে ১৩০০ টাকা। ১০০০ টাকা ভাড়ার ঘর ৮০০ টাকায় পাওয়া যাবে। অনলাইন এবং স্পট বুকিং দু’ক্ষেত্রেই পাওয়া যাবে সুবিধা।"
আরও পড়ুন- হেফাজতে থাকা মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার বিএসএফ জওয়ান
অবশ্য হোটেল ভাড়ায় ছাড় দেওয়া হলেও করোনা বিধির সঙ্গে কোনও রকম আপোস করা হবে না বলে জানিয়েছেন হোটেল মালিকদের সংগঠন। সরকারি নির্দেশ মেনে হোটেল ভাড়া নিতে গেলে থাকতে হবে করোনা টিকার দুটি ডোজ নেওয়ার শংসাপত্র। এছাড়া আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করাতে হবে। রিপোর্ট নেগেটিভ হলে তবেই মিলবে হোটেলের ঘর। এর মধ্যে কোনও একটি না থাকলে মিলবে না ঘর। তবে যে সব পর্যটকের কাছে করোনার রিপোর্ট থাকবে না তাঁদের জন্য হোটেল মালিকদের সংগঠন করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছে। সেক্ষেত্রে ওই পরীক্ষার কিট বাবদ মাথাপিছু ২৪০ টাকা দিতে হবে।
পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, “প্রায় দু'বছর পর্যটন শিল্প বন্ধ ছিল। তাই পর্যটকদের সুবিধার জন্য দিঘা হাসপাতালেও করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে। তবে মাস্ক পরা ও অন্য করোনাবিধি মেনেই পর্যটকদের দিঘায় থাকতে হবে। সচেতন হতে হবে হোটেলগুলিকেও।"