রাজ্যের নদীরগুলির পাশাপাশি বীরভূমের নদ-নদীগুলিতেও জল বেড়ে গিয়েছে। ঝাড়খণ্ডের সিকাটিয়া জলাধার থেকে ১ লক্ষ ২৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর ফলে নদীগুলিতে আরও জলস্তর বেড়ে যায়।
নিম্নচাপের (Depression) জেরে দক্ষিণবঙ্গে (South Bengal) বৃষ্টি হয়েই চলেছে। টানা বৃষ্টির (Heavy Rain) জেরে জলমগ্ন (Water logged) বিভিন্ন এলাকা। বাড়ছে নদীর জলস্তরও (River Water Level)। আর এর ফলেই জলের তোড়ে ভেঙে পড়ল ইলামবাজারে নির্মীয়মাণ সেতুর (Under Construction Bridge) অংশ। ইলামবাজারের অজয় নদের (Ajay River) উপর দীর্ঘ দিন ধরেই ওই দীর্ঘ সেতুর নির্মাণ কাজ চলছিল। টানা বৃষ্টির জেরে জলের তোড়ে তা হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। অন্যদিকে, ইলামবাজারের জয়দেবে ফের ফেরিঘাট ডুবে গিয়েছে। এর ফলে বন্ধ হয়ে গেল দুর্গাপুরের (Durgapur) সঙ্গে বীরভূমের যোগাযোগের রাস্তা।
ওড়িশা-অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলে তৈরি হওয়া 'গুলাব'-এর (Gulab) দাপটে দক্ষিণবঙ্গে দু'দিন ধরে টানা বৃষ্টি হয়েছে। আর তাতেই রাজ্যের নদীরগুলির পাশাপাশি বীরভূমের নদ-নদীগুলিতেও জল বেড়ে গিয়েছে। ঝাড়খণ্ডের সিকাটিয়া জলাধার থেকে ১ লক্ষ ২৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এর ফলে নদীগুলিতে আরও জলস্তর বেড়ে যায়। জল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেতুর নির্মাণে ত্রুটি থাকায় জলের তোড়ে ইলামবাজারের অজয় নদের উপর নির্মীয়মাণ সেতুর অংশ ভেঙে পড়েছে বলে অনুমান স্থানীয় বাসিন্দাদের।
আরও পড়ুন- 'খুব ভালো হয়েছে ভোট ', ভবানীপুর উপনির্বাচন শেষ হতেই প্রিয়াঙ্কাকে চ্যালেঞ্জ ফিরহাদের
আরও পড়ুন- দুর্গা পুজোর ১০ দিন থাকছে না নাইট কার্ফু, ঠাকুর দেখতে হলে মানতে হবে এই নিয়মগুলি
অজয়ের উপর পুরনো যে সেতুটি ছিল তা দুর্বল হয়ে পড়েছে। সেই কারণে তার পাশেই নতুন করে সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে রাজ্য সরকার। কয়েক বছর ধরেই ওই সেতু নির্মাণের কাজ চলছিল। পুরনো সেতুটি দুর্বল হয়ে পড়ার জন্যই নতুন সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়। বীরভূম-বর্ধমানের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হল এই সেতু। তারপরই নির্মাণ কাজ চলছিল। কিন্তু, জলের তোড়ে সেতুর একটা অংশ ভেঙে পড়ায় সেতু নির্মাণের কাজ আরও দীর্ঘমেয়াদি হবে বলে মনে করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফে।
আরও পড়ুন- মৃতের নামেও তোলা হচ্ছে রেশন, তালিকা থেকে সেই নাম বাদ দিতে তৎপর রাজ্য
অন্যদিকে, জয়দেবের ফেরিঘাটও জলের তলায় চলে গিয়েছে। ফলে বীরভূম থেকে বর্ধমান যাওয়ার সহজ যোগাযোগ পথও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এরপর যদি আরও বৃষ্টি হয় তাহলে আরও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা বাড়বে। যদিও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে জেলা প্রশাসন। এ প্রসঙ্গে বীরভূমের জেলাশাসক বিধান রায় বলেন, "ডিজাস্টার ম্যানেজম্যান্ট টিম তৈরি আছে। আমরা সব রকম প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।"