গতবারের লাভের টাকায় সংসার চলছে এখনও। কিন্তু এভাবে আর কতদিন! জমানো টাকাও তো শেষ হতে চলল। লকডাউনে বিপাকে পড়েছেন দক্ষিণ ২৪ পরগণার বাজি ব্যবসায়ী ও কারিগররা।
আরও পড়ুন: পরিযায়ী শ্রমীকদের লোকালয়ে ঢুকতে বাধা, জঙ্গলে তাঁবু খাটিয়ে শুরু কোয়ারান্টাইন
এক সময়ে শব্দবাজিরই রমরমা ছিল। তবে সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে এখন আলোর বাজিই বেশি তৈরি হয়। বাজির জন্য বিখ্যাত দক্ষিণ ২৪ পরগণার চম্পাহাটির হারাল গ্রাম। স্রেফ পুজো-পার্বণেই তো নয়, বিয়েবাড়িতে বাজি ফাটান অনেকেই। ফলে ক্রেতাদেরও অভাব হয় না। প্রতিবছর চৈত্র মাসের শেষের দিক থেকে ব্য়স্ততা বাড়ে ব্যবসায়ী ও কারিগরদের। কিন্তু এবার কী হবে? লকডাউনে বাড়ছে অনিশ্চয়তা।
আরও পড়ুন: স্পেশাল ট্রেনে 'চরম অব্যবস্থা', রামপুরহাট স্টেশনে বিক্ষোভ যাত্রীদের
আরও পড়ুন: ঔরাঙ্গাবাদে রেল দুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা, জাতীয় সড়কে পরিযায়ী শ্রমিকদের আটকাল পুলিশ
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগণার জেলায় বাজি শিল্পের সঙ্গে যুক্ত প্রায় হাজার পঞ্চাশেক মানুষ মানুষ। লকডাউনের কতজন যে কাজ হারিয়েছেন, তার ইয়ত্তা নেই। প্রায় দুই মাস হয়ে গেল, বাজির বাজার বন্ধ। বিয়ের মরশুমের জন্য আগেভাগে বাজি তৈরি করে রেখেছিলেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু বিয়ে তো দূর অস্থ, পাড়ার ক্রিকেট কিংবা ফুটবল প্রতিযোগিতাও এখন বন্ধ। ফলে বাজিও আর বিক্রি হয়নি। এই ক্ষতি কী করে সামাল দেবেন? কার্যত দিশেহারা বাজি ব্যবসায়ীরা। চরমে আর্থিক অনটন দিন কাটছে বাজির শ্রমিকদেরও।