গত শনিবারেই ঘটেছিল সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। নিষেধাজ্ঞা ভেঙে কাকদ্বীপের একদল মৎস্যজীবী পাড়ি দিয়েছিলেন সমুদ্রে। দিকভ্রস্ট হয়ে হারিয়ে যান সাতাশ জন। পাঁচ দিনের মাথায় খোঁজ মিলল সেই হারিয়ে যাওয়া মৎস্যজীবীদেরই একজনের। মৃত্যুর সঙ্গে তাঁর লড়াই হার মানাবে সিনেমা-উপন্যাসকেও।
সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, উদ্ধার হওয়া মৎস্যজীবীর নাম রবীন্দ্রনাথ দাস। তিনি এফ বি নয়ন ট্রলারের মাঝি ছিলেন। গতকাল সকালে বঙ্গোপসাগর থেকে বাংলাদেশি একটি জাহাজ উদ্ধার করে রবীন্দ্রনাথকে। রবীন্দ্রনাথ তথার কানুর বাড়ি নামখানায়। দক্ষিণ চব্বিশ পরগণা প্রশাসনের নিখোঁজ তালিকায় রয়েছে কানুর নাম।
আরও পড়ুনঃ নিষেধ অগ্রাহ্য করেই মাঝ সমুদ্রে, ট্রলার ডুবে নিখোঁজ কাকদ্বীপের বহু মৎস্যজীবী
কী ভাবে উত্তাল সমুদ্রে পাঁচ দিন লড়াই করলেন কানু! কেউ জানে না। বাংলাদেশের উদ্ধারকারীরা জানাচ্ছেন, এদিন সকাল এগারোটা নাগাদ চট্টগ্রামের কাছে তাঁর দেহ ভাসতে দেখা যায়। সমুদ্রে প্রচন্ড স্রোত থাকায় জলে উদ্ধার কাজে নামতে পারেননি উদ্ধারকারীরা। তাঁরা লাইফ জ্যাকেটটি ছুঁড়ে দিলে কানু সেটি ধরে নেয়। পরে অন্য একটি পণ্যবাহী জাহাজের নাবিকরা এদিন কানুকে উদ্ধার করে। তখন তিনি প্রায় অচেতন। তাঁর বাচার লড়াইয়ে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছন সকলে। উল্লেখ্য, কানুর বাড়িতে খবর দেওয়া হয়েছে। তিনি এখন শারীরিক ভাবে সুস্থ।
আবহাওয়া দফতরের নিষেধাজ্ঞাকে অগ্রাহ্য করে সমুদ্রে গিয়ে গত শনিবার দিকভ্রান্ত হয়ে পড়েন মৎস্যজীবীরা। উত্তাল সমু্দ্রের ঢেউয়ের দাপটে বাংলাদেশের হাঁড়িভাঙার চরের কাছে জল ঢুকতে শুরু করে চারটি ট্রলারে।ডুবে যায় তিনটি ট্রলার। দশভূজা এবং এফবি নয়ন নামে দু'টি ট্রলারের মোট ২৭জন মৎস্যজীবীর কোনও খোঁজ ছিল না। আপাতত নিখোঁজ মৎস্যজীবীর সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়াল ২৬-এ।