একে পূর্ণিমার ভরা কোটাল তার উপরে নিম্নচাপ দোসর। দুয়ের মিলিত দাপটে নাজেহাল অবস্থা বঙ্কিমনগরবাসীর। দিনভর বৃষ্টির পাশাপাশি নদী বাঁধ ভেঙে জল ঢুকছে গ্রামে। প্লাবিত বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রায় ভিটে মাটি ছেড়ে রাস্তায় আশ্রয় নেওয়ার অবস্থা হয়েছে এলাকাবাসীর।
একে পূর্ণিমার ভরা কোটাল তার উপরে নিম্নচাপ দোসর। দুয়ের মিলিত দাপটে নাজেহাল অবস্থা বঙ্কিমনগরবাসীর। দিনভর বৃষ্টির পাশাপাশি নদী বাঁধ ভেঙে জল ঢুকছে গ্রামে। প্লাবিত বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রায় ভিটে মাটি ছেড়ে রাস্তায় আশ্রয় নেওয়ার অবস্থা হয়েছে এলাকাবাসীর।
গত ৭ তারিখ নাগাদ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপের জেরে দিনভর হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি চলেছে গঙ্গা সাগর দক্ষিণ ২৪ পরগণার একাধিক এলাকায়। তার উপরে পূর্ণিমার ভরা কোটালের জেরে ফুলে ফেপে উঠেছে মুড়িগঙ্গার জল। জোয়ারের জলে ইতিমধ্যে ভাঙতে শুরু করেছে নদী বাঁধ। বঙ্কিমনগর ১ নম্বর কলোনির প্রায় ১৫০ মিটার বাঁধ ভেঙে যাওয়ার দরুণ হু হু করে জল ঢুকতে থাকে গ্রামে। জলমগ্ন চাষের জমি। নোনাজলে প্লাবিত বিস্তীর্ণ এলাকা। কার্যত দিশাহারা অবস্থা স্থানীয়দের।
আরও পড়ুন - গভীর নিম্নচাপের প্রভাব ওড়িশায়, তাহলে কি রক্ষা পাবে বাংলা?
এর আগেও ভরা কোটালের জেরে ভেঙে যায় বাঁধ। নদীর জল গ্রামে ঢুকে পরায় চরম সমস্যায় পরেছিলেন গ্রামবাসীরা। বাঁধ মেরেমতির জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু হলেও এবারের ভরা কোটালে ফের নতুন করে ভেঙে যায় বাঁধ।
আরও পড়ুন - বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপ, এই জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস
ইতিমধ্যে বানভাসী মানুষদের জন্য ত্রাণ শিবিরের ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। প্রশাসনের এই উদ্যোগে খুশি স্থানীয় মানুষেরা।
এই প্রসঙ্গে সাগরের বিডিও সুদীপ্ত মণ্ডল জানান,"যে সমস্ত এলাকা নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হচ্ছে সেই সব এলাকায় দ্রুত গতিতে বাঁধ মেরামতির কাজ ইতিমধ্যে চালু হয়েছে।"
আরও পড়ুন - দু’তিন দিনের মধ্যেই ফের বদলাবে আবহাওয়া, বৃষ্টি থামার লক্ষণ নেই দক্ষিণবঙ্গে?