৩১ অগাস্ট ডিজি হিসেবে কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়েছিল বীরেন্দ্রর। সেই কারণে সেপ্টেম্বর থেকে নতুন ডিজি হিসেবে দায়িত্ব নেন মনোজ মালব্য। ১৯৮৬ সালের আইপিএস ব্যাচের অফিসার ছিলেন তিনি।
মাত্র কয়েকদিন আগেই রাজ্যের নতুন ডিজি হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন মনোজ মালব্য। এরই মধ্যে আদালতের নির্দেশ না মানায় তাঁকে তলব করলেন কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল। ২১ সেপ্টেম্বর তাঁকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, রিয়েল সানরাইজ কেমটেক লিমিটেড ও সানপ্ল্যান্ট অ্যাগ্রো লিমিটেড নামে দুটি ভুয়ো অর্থলগ্নিকারী সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা চলছে কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলার শুনানির সময় দুই সংস্থার প্রতিনিধিদের আদালতে হাজির করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, সেই নির্দেশ মানেননি রাজ্য পুলিশের ডিজি। পুলিশের তরফে কোনও সংস্থার প্রতিনিধিকেই হাজির করানো হয়নি। উপস্থিত ছিলেন না রাজ্যের আইনজীবীও। তারপরই ক্ষুব্ধ হয়ে ডিজিকে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
আরও পড়ুন- টানা ৬দিন বন্ধ থাকবে তারাপীঠ মন্দির, কৌশিকী অমাবস্য়ায় ভিড় এড়াতে এই সিদ্ধান্ত
৩১ অগাস্ট ডিজি হিসেবে কার্যকালের মেয়াদ শেষ হয়েছিল বীরেন্দ্রর। সেই কারণে সেপ্টেম্বর থেকে নতুন ডিজি হিসেবে দায়িত্ব নেন মনোজ মালব্য। ১৯৮৬ সালের আইপিএস ব্যাচের অফিসার ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন- সিদ্ধার্থ শুক্লা থেকে সুশান্ত ও শ্রীদেবী, এই সব সেলেবদের মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশকে
কেন্দ্রের অনুমোদন নিয়েই ডিজি নিয়োগ করে রাজ্য। এদিকে বীরেন্দ্রর অবসরের দিন এগিয়ে আসায় রাজ্যের তরফে ৬টি নামের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে। সেই তালিকায় নাম ছিল বিবেক সহায়, সুমনবালা সাহু, নীরজ নয়ন পাণ্ডে, অধীর শর্মী, গঙ্গেশ্বর সিং ও মনোজ মালব্যের। এরপর কেন্দ্রের তরফে মনোজ মালব্যের নামে সবুজ সঙ্কেত দেওয়া হয়। সেই মতো ডিজি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।
আরও পড়ুন- রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় প্রথম চার্জশিট পেশ, ৩৮০ পাতার চার্জশিট দিল সিবিআই
এদিকে জানা গিয়েছে, আদালতের এই নির্দেশিকার পাল্টা পদক্ষেপ করতে চলেছে রাজ্য সরকার। যাতে ডিজিকে হাজিরা থেকে রেহাই দেওয়া যায় তার জন্য হাইকোর্টে আবেদন করতে পারেন সরকারি আইনজীবী। ডিজির পরিবর্তে যাতে অন্য কেউ হাজিরা দেন সেই আবেদন করা হবে।