দাম আকাশছোঁয়া। কিন্তু না খেলে কী হবে? মরে যাবেন? সোশ্যাল মিডিয়ায় পিঁয়াজ বয়কটের ডাক দিয়ে জোরদার প্রচারে নেমেছে নেটিজেনদের একাংশ। তাঁদের যুক্তি, টানা সাতদিন যদি সকলে মিলে পেঁয়াজ বন্ধ রাখলেই নাকি দম কমে যাবে। তখন নাকি ২০ কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করতে বাধ্য হবেন বিক্রেতারা!
বাজার আগুন। শীতের মুখে সবজির দাম কমার কোনও লক্ষণই নেই। তবে দাম সবচেয়ে বেশি পিঁয়াজের। অগ্নিমূল্য বলা চলে। এক কেজি পিঁয়াজ এখন বিকোচ্ছে ১০০ টাকায়! শোরগোল সোশ্যাল মিডিয়ায়। মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাম পরাতে উদ্যোগ নিয়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নবান্নে বৈঠক করে কালোবাজারি ও ফড়েদের দাপট রুখতে টাস্ক ফোর্সকে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। পুলিশকে সঙ্গে নিয়মিত বাজারে হানা দিচ্ছেন টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা। কিন্ত পিঁয়াজের ঝাঁজ আর কমছে কই! গত আড়াই মাস ধরে দাম আকাশছোঁয়া। এমনকী, পাইকারি বাজারের দরের সঙ্গে খুচরো বাজারে পিঁয়াজের দরের বিস্তর ফারাক। ক্রেতাদের অভিযোগ, এক শ্রেণির খুচরো ব্যবসায়ী ইচ্ছাকৃতভাবে পিঁয়াজের দাম বাড়িয়ে রেখেছেন। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, স্রেফ টাকা বাঁচাতেই কম পরিমাণে পিঁয়াজ কিনতে শুরু করেছেন অনেকেই। কিন্তু তাতেও যে বিশেষ লাভ হচ্ছে, এমনটা কিন্তু নয়। শেষপর্যন্ত পিঁয়াজ বয়কট করার দাবি উঠল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
কিন্তু অনেকেই কম পরিমাণ পিঁয়াজ কিনছেন। কিন্তু তাতেও তো দাম কমার কোনও লক্ষণই নেই। তাহলে পিঁয়াজ বয়কট করলে কীভাবে দাম কমবে? অভিনব পদ্ধতি বের করেছেন নেটিজেনরা। তাঁদের যুক্তি, সাতদিন যদি কেউ পিঁয়াজ না কেনেন, তাহলে বিক্রেতার ঘরে বস্তাবন্দি পিঁয়াজ পচতে শুরু করবে। তখন কম দামে বিক্রি করা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে। কেউ কেউ আবার একধাপ এগিয়ে দাবি করেছেন, বাংলাদেশে কোনও এক শহরে নাকি স্রেফ কেনা বন্ধ করে পিঁয়াজের দাম লাগাম পরিয়েছেন স্থানীয় মানুষেরাই! কিন্তু ঘটনা হল, এ রাজ্যের মতোই বাংলাদেশেও পিঁয়াজের দাম আকাশ ছুঁয়েছে।