রবিবার ১ মে বিশ্ব জুড়ে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক শ্রম দিবস। আন্তর্জাতিক শ্রম দিবসে শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
মে দিবস শুভেচ্ছা জানালেন মমতা। রবিবার ১ মে বিশ্ব জুড়ে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক শ্রম দিবস। মে দিবসে শ্রমিকদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করাই এই দিনটির উদ্দেশ্য। সব কাজেই রয়েছে শ্রম। শ্রমিকদের বঞ্চনা-শোষণের ইতিহাসকে স্মরণ করার দিন এটি। শ্রমের সঙ্গে যথোপযুক্ত মর্যাদার প্রতিষ্ঠার দিনকে মে দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আন্তর্জাতিক শ্রম দিবসে শুভেচ্ছা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়।
রবিবার টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় জানিয়েছেন, সবাইকে আন্তর্জাতিক শ্রম দিবসের শুভেচ্ছা। আমরা আমাদের শ্রমিক ভাইবোনেদের জন্য গর্বিত। তাঁরা আমাদের সাথী। দেশ-বিদেশ তথা বাংলার সকল শ্রমিককে আন্তর্জাতিকভাবে শুভেচ্ছা জানাই।' প্রতি বছর পয়লা মে তারিখে বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হয়, আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। সারা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের শ্রমজীবী মানুষ ও শ্রমিক সংগঠনসমূহ রাজপথে সংগঠিতভাবে মিছিল এবং শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করে । এই দিন শ্রমিকদের অবদান এবং ঐতিহাসিক শ্রমিক আন্দোলনের কথা স্মরণ করে করা হয়। বিশ্বব্যাপী প্রায় ৮০টি দেশে পয়লা মে জাতীয় ছুটির দিন। তবে অনেকে দেশে এটি বেসরকারিভাবে পালিত হয়।
আরও পড়ুন, ঘনিষ্ঠভাবে দেখে ব্ল্যাকমেল, ভিডিও ভাইরালের হুমকি দিয়ে নাবালিকাকে লাগাতার গণধর্ষণ বোলপুরে
উল্লেখ্য, ১৯২৩ সালে ভারতে প্রথম পালিত হয়েছিল মে দিবস। সে বছর হিন্দুস্তান লেবার কিসান পার্টি দেশে প্রথমবারের মতো মে দিবস উদযাপন করেন। এই অনুষ্ঠানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন কমরেড সিঙ্গারাভেলার। শ্রমিক দিবসে সরকার সকলকে জাতীয় ছুটির মঞ্জুর করার কথা জানিয়ে একটি রেজুলেসন পাশ করে। এবং সেই থেকে ভারতে পালিত হচ্ছে মে দিবস। ত্রিপলিকেন সৈকত ও মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিপরীতে অবস্থিত সৈকতের দুটি সমাবেশে মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সির আত্মসম্মান আন্দোলন এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেণির আন্দোলনেক যোদ্ধা এই নেতা একটি প্রস্তাব পাশ করেছিলেন। যে প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, সরকারের শ্রমিক দিবসের দিনটিকে সকলের জন্য ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করতে হবে।
অপরদিকে, অধিকাংশ দেশে শ্রম দিবসে সরকারি অফিস, স্কুল, কলেজ সব বন্ধ থাকে। ইতিহাসে ফিরে তাঁকালে জানা যায়, ১৮৮৬ সালে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল। আমেরিকান কর্মচারীরা কঠোর শ্রম বিধিবিধান, শ্রমিকদের অধিকার লঙ্ঘন, খারাপ কাজের পরিস্থিতি এবং ভয়ঙ্কর কাজের সময়গুলো নিয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন। সেই সময় শ্রমিক অসন্তোষ বিশাল আকার নিয়েছিল। আমেরিকার শিকাগোর হে মার্কেটের কথা এখনও স্মরণীয় হয়ে আছে। সেই ঘটনায় প্রাণ হারান ৪ জন সাধারণ মানুষ এবং ৭ জন পুলিশ আধিকারিক। সেই আন্দোলনের পরই যুক্তরাষ্ট্রে ৮ ঘন্টা কর্মদিবসকে স্বীকৃতি দিতে শুরু করে। ১৮৯৪ সাল থেকে শ্রমিক দিবসকে ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। আরও পড়ুন, আজ কি ফের ঝড়-বৃষ্টি কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে ? কী বলছে হাওয়া অফিস