বুদ্ধদেব পাত্র, পুরুলিয়া: করোনা আতঙ্ক বাড়ছে উত্তরোত্তর। এরইমাঝে আবার শুরু হয়ে গেল গণেশ পুজোর প্রস্তুতি! মঙ্গলবার, জন্মাষ্টমীর পূণ্যলগ্নে পুরুলিয়ার খনি অঞ্চলে খুঁটি পুজো সেরে নিলেন উদ্যোক্তারা। তবে দশদিন নয়, এবার পুজো দু'দিনের। শুধু তাই নয়, দর্শনার্থীদের জন্য বাড়িতে বসেই পুজো দেখারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা রোধে এবার লকডাউন ভূটানেও, সীমান্ত বাণিজ্য় বন্ধ উত্তরবঙ্গে
স্রেফ পুরুলিয়াতেই নয়, গত কয়েক বছর গণেশপুজোর চল বেড়েছে রাজ্যের সর্বত্রই। জেলার নেতুড়িয়া থানার পারবেলিয়া এলাকায় অন্যতম বিগ বাজেটের পুজো সরস্বতী ক্লাবের গণেশ পুজো। দক্ষিণবঙ্গের আর কোথাও এত ধুমধাম করে গণেশ পুজো হয় না বললেই চলে। বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান কিংবা বীরভূম মতো পড়শি, এমনকী ঝাড়খণ্ড থেকেও পুজো দেখতে আসেন বহু মানুষ। দশদিন রীতিমতো উৎসব চলে এলাকায়। করোনা আবহে এবার আর কিছুই হবে না। নমো নমো করে কোনওমতে স্রেফ গণেশ পুজোটুকু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উদ্যোক্তারা। সরস্বতী ক্লাবের সভাপতি তথা নেতুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি শান্তিভূষণ যাদব জানিয়েছেন, 'গত বছর আমাদের পুজো বাজেট ছিল পনেরো লক্ষ টাকা। করোনাভাইরাস কারণে এবার বাজেট কমিয়ে খুব সাধারণভাবে পুজো করা হবে।'
আরও পড়ুন: ফেসবুকে করোনা রোগীর কাতর আর্জি, খবর নিতে হাসপাতালে ছুটলেন লক্ষ্মী
বছর বাইশ আগে যখন ইসিএস-এর খনি এলাকায় জনা কয়েক যুবক গণেশ পুজো শুরু করেন, তখন তল্লাটে থিমের পুজো চল ছিল না বললেই চলে। দুর্গাপুজোর সময়ে দামোদর পেরিয়ে ঠাকুর দেখতে যেতে হয় আসানসোল কিংবা দুর্গাপুরে। মুম্বাই-এর কায়দাতেই খনি এলাকায় শুরু হয় গণেশ পুজো। ধীরে ধীরে সেই পুজো বিগ বাজেটের পুজো পরিণত হয়। করোনা আতঙ্কে এবার ছোট করে পুজো করতে বাধ্য হচ্ছেন উদ্যোক্তারা। দশদিনের বদলের পুজো হবে মাত্র দু'দিন। থাকবে না বাড়তি কোনও আড়ম্বর। থিম, কোভিড-১৯