রাজ্যে আরও চাকরি কেড়ে নেওয়া হবে? কলকাতা হাইকোর্টের বিস্ফোরক রায়ে ঘুম উড়ল চাকরিজীবীদের

Published : Jun 03, 2024, 06:28 PM IST

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় রাজ্য। আর এরই মাঝে এবার আরেক নির্দেশ ঘিরে শোরগোল। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে উড়ল ঘুম! মিলছে না নিয়োগ-নথির বহু তথ্য! দিশেহারা সকলে। তাহলে কি আরও চাকরি যেতে চলেছে? প্রশ্ন উঠছে

PREV
110

কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে এবার ঘুম উড়ল চাকুরিজীবীদের। কর্মরত সব স্কুল শিক্ষককে তাদের নিয়োগ সংক্রান্ত নথিপত্র জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে জমা দিতে হবে।

210

সেই তথ্য তুলতে হবে স্কুলের পোর্টালেও। সম্প্রতি জেলা স্কুল পরিদর্শক (ডিআই)-দের এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যা নিয়ে নতুন করে ক্ষোভ।

310

শিক্ষকমহলের অভিযোগ, ১৯৯৮ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশন এসএসসি-র পরীক্ষা পদ্ধতি চালু হওয়ার আগে, নিয়োগের অনেক নথি- তথ্যই স্কুলগুলিতে পাওয়া যাচ্ছে না।

410

১৯৯৮-এর আগে স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ হত ‘এমপ্লয়মেন্ট এক্সচেঞ্জ’-এ তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের যোগ্যতার অনুসারে এবং স্কুলের পরিচালন সমিতির সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে।

510

সেই সময় সাক্ষাৎকারের পরে প্যানেল তৈরি করে তা ডিআই-দের কাছে পাঠানো হত। পরিদর্শক সেই প্যানেল অনুমোদন করলে তালিকা অনুযায়ী প্রার্থীদের ঠিকানায় নিয়োগপত্র পাঠানোর নিয়ম ছিল।

610

তবে জানা যাচ্ছে ডিআই-দের সেই অনুমোদন করা প্যানেল অনেক ক্ষেত্রেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মিলছে না পরিদর্শকের চিঠিতে পাওয়া মেমো নম্বরও।

710

অনেক শিক্ষকরাই জানিয়েছেন তাদের স্কুলে পরিদর্শকের অনুমোদন করা এমন চিঠি পাওয়া গিয়েছে, তবে যার মেমো নম্বর নেই।

810

আবার কোথাও কোথাও পরিদর্শকের অনুমোদন করা প্যানেলই পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে এক্ষেত্রে নথি জমা দেওয়ার বিষয়ে অসঙ্গতি থেকে যাচ্ছে। এত বছর আগের নথি খুঁজে পেতে যথেষ্টই বেগ পেতে হচ্ছে।

910

১৯৯৮-এর আগে কোনও লিখিত পরীক্ষা না থাকায় প্রার্থীদের সাক্ষাৎকারে ক্ষেত্রে স্বজনপোষণের অর্থাৎ অনিয়মের যথেষ্ট সুযোগ ছিল।

1010

এক জেলা স্কুল পরিদর্শক এই বিষয়ে জানিয়েছেন, “কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে আমরা নথি জমা দিতে বলেছি। আদালত কর্মরত সবার নিয়োগের নথি ডিজিটালাইজড করার নির্দেশ দিয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রধান শিক্ষকদের কাছে ওই তথ্য চাওয়া হয়েছে।”

click me!

Recommended Stories