সিবিআই সূত্রের খবর সঞ্জয় রায়কে বারবার জেরা করেই একাধিক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি। পলিগ্রাফ টেস্টেও সব ধোঁয়াশা কাটেনি। সেই কারণেই এবার নার্কো অ্যানালিসিসের পথে হাঁটতে চলেছে তদন্তকারীরা।
আদালতের জবাব
সিবিআই সূত্রের খবর আদালত সঞ্জয় রায়ের নার্কো অ্যানালিসিস পরীক্ষায় অনুমতি দেয়নি। যদিও আগে সঞ্জয় রায়ের পলিগ্রাফ পরীক্ষারও অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নাার্কো টেস্টের আবেদন শুনেই তা খারিজ করে দেয় সিবিআই।
নার্কো পরীক্ষার কারণ
তদন্তকারীদের অনুমান নার্কো পরীক্ষায় অনেক অপরাধী সত্যের সন্ধান দিয়েছে। আর সেই কারণেই আরজি কর হত্যাকাণ্ডের সত্য জানতেই একমাত্র ধৃত সঞ্জয়ের নার্কো পরীক্ষা করা হবে।
নার্কো পরীক্ষা
ওষুধের মাধ্যমে অবচেতন মনতে জাগ্রত করে বেশি তথ্য জানতে চাওয়ার পদ্ধতি হল নার্কো চেস্ট। বিশেষজ্ঞদের মতে মানুষের অবচেতন মনকে সাধারণত নিষ্পাপ ধরা হয়। তাই সাধারণ জিজ্ঞাসাবাদ তথ্য গোপন করলেও অবচেতনে মস্তিষ্কে সেই তথ্য থাকে। যা নার্কো পরীক্ষায় প্রকাশ পায়। যা তদন্তে কাজে লাগে।
প্রথম নার্কো পরীক্ষা
১০৯২ সালে বার রবার্ট নামের এক চিকিৎসক টাস্কফোর্সে দোষী সাব্যস্ত হওয়া দুই আসামীর ওপর করেন। বর্তমানে গোটা বিশ্বের একাধিক দেশে তদন্তের সুবিধের জন্য এই পরীক্ষা করা হয়।
পরীক্ষার ধরন
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে নারকো পরীক্ষার সময়, সোডিয়াম পেন্টোথাল বা সোডিয়াম অ্যামিটালের মতো সম্মোহনী ওষুধ সংশ্লিষ্টের শরীরে ইনজেকশনের মাধ্যমে দেওয়া হয়। তারপরই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অবচেতনে চলে যায়।
জিজ্ঞাসাবাদের ভিডিও রেকর্ড
ঝিমিয়ে থাকা অবস্থায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অবচেতন অবস্থায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি গড়গড়িয়ে সত্য কথা বলে দিতে পারে বলেও আশা করেন তদন্তকারীরা।
নার্কো পরীক্ষার বাধা
নার্কো পরীক্ষার অনেক ধরনের বাধা রয়েছে। এটি শারীরের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। অন্যদিকে সাংবিধানিকভাবেও এটি অবৈধ। কারণ ব্যক্তিগত গোপনীয়তার স্বাধীনতা লঙ্ঘন হয় এই পরীক্ষায়।
সুপ্রিম কোর্টে মামলা
আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর সুপ্রিম কোর্টে আজরি কর মামলার শুনানি রয়েছে। সেখানে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে রিপোর্ট জমা দিতে হবে। কিন্তু হত্যাকাণ্ড নিয়ে এখনও ধোঁয়াসা রয়েছে। সূত্রের খবর সেই কারণেই হবে নার্কো টেস্ট।
সঞ্জয়ের বয়ানে সংশয়
তদন্তকারীদের দাবি সঞ্জয় বারবার বয়ান বদল করছে। পলিগ্রাফ টেস্টেও কিছু প্রশ্নের উত্তর অধরা রয়েছে। সেই কারণেই নার্কো টেস্ট।