সকালে জনৈক অরিন্দম খাঁড়া ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে দাবি করেন, ডি-এলএড পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছে! এরপর সাড়ে এগারোটা নাগাদ সেই প্রশ্নপত্রের ফোটোকপি পোস্ট করেন তিনি।
পরীক্ষা শুরুর আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হয়ে গেল ডি-এলএডের প্রশ্নপত্র। সারাদিন ধরে তা ঘুরে বেড়ালে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের দেওয়ালে। পরীক্ষার্থীদের দাবি ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের সঙ্গে হুবহু মিল রয়েছে আসল প্রশ্ন পত্রের। অভিযোগ বেলা বারোটায় পরীক্ষা শুরু ঘন্টা খানেক আগেই এই প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটে।
ডি-এলএড কোর্সটি দু'বছরের। চারটি সেমিস্টারে পরীক্ষা নেওয়া হয়। ডি-এলএড কলেজগুলিতে নয়, রাজ্যে সরকারি স্কুলগুলিতে এবার পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পর্ষদ। সোমবার থেকে শুরু হয় ডি-এলএড-র দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা। প্রথমদিনেই এডুকেশন স্টাজিডের প্রশ্ন ফাঁস হয়ে যায় বলে অভিযোগ।
পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল বলেন, 'পরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট সবাই সততার সঙ্গে কাজ করে। কেউ একজন অসৎ হলে, সেটা বিশ্বাসঘাতকতা। যাঁরা প্রশ্নপত্র তৈরি করছেন, তাঁরাই ফাঁস করলে কী করা যাবে'? জানান, 'আমাদের কাছে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ এসেছে। আমরা তদন্ত কমিটি গড়ছি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।পরীক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবেই পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে'।
এদিন সকালে জনৈক অরিন্দম খাঁড়া ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে দাবি করেন, ডি-এলএড পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়ে গিয়েছে! এরপর সাড়ে এগারোটা নাগাদ সেই প্রশ্নপত্রের ফোটোকপি পোস্ট করেন তিনি। সেই পোস্টটি ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
এমনিতেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বেশ বিপাকে রয়েছে রাজ্য সরকার। একসময়ে যিনি প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি ছিলেন, সেই মানিক ভট্টাচার্য এখন ইডি-র হেফাজতে। তদন্তকারীদের দাবি, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির কিংপিন মানিকই! তাঁর আমলেই নাকি ৫৮ হাজার পদে বেআইনি নিয়োগ হয়েছে! শুধু তাই নয়, রাজ্যে যেসমস্ত কলেজে ডি-এলএড পাঠ্যক্রমের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষক হওয়ার জন্য় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়, সেই কলেজগুলি নিয়েও অভিযোগের শেষ নেই।