এ যেন প্রত্যাবর্তন।
আরজি কর কাণ্ডের সময়েই সরকারি হাসপাতালে দাদাগিরিতে নাম জড়ানোর পরে কাউন্সিল জানিয়ে দিয়েছিল যে, তাদের বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারবেন না এই দুজন ডাক্তার। সোমবার হটাৎ করেই কাউন্সিল সেই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিল। তারা জানিয়ে দিল, অভীক এবং বীরূপাক্ষের বিরুদ্ধে ওই পদক্ষেপ আইনের ভিত্তিতে নাকি করাই হয়নি।
তখন পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে এটা করা হয়েছিল। এমনকি সোমবার, কাউন্সিলের বৈঠকে যোগও দেন অভীক। তারপরই জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্সের তরফ থেকে প্রশ্ন তোলা হয় যে, অভীক এবং বীরূপাক্ষকে কাউন্সিলের বৈঠক থেকে বাদ দেওয়ার চিঠি কি তবে ভাঁওতা ছিল?
জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই কাউন্সিলের দফতরের সামনে জড়ো হয়েছেন সংগঠনের সদস্যরা। রাতে সেখানেই অবস্থান করবেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। সেইসঙ্গে, ছাউনি তৈরি করারও চেষ্টাও করেছেন তারা।
সোমবার, রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের এক কর্তা জানান, “অভীক এবং বীরূপাক্ষকে বৈঠকে যোগ দিতে বারণ করার সিদ্ধান্ত আইনের ভিত্তিতে নেওয়া হয়নি। ওই সময়ে করে দিয়েছিলাম আমরা।”
কাউন্সিলের তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে যে, তাদের আইনে এই পদক্ষেপ করার কোনও বিধানই ছিল না। উল্লেখ্য, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক বীরূপাক্ষ মেডিক্যাল কাউন্সিলের পেনাল এবং এথিক্স কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তন আরএমও অভীক আবার কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন।
সোমবার কাউন্সিল সেই আদেশ তুলে নিতেই বৈঠকে যোগ দেন তারা দুজন। আর এবার এই নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিয়েছে চিকিৎসকদের সংগঠন। তাদের প্রশ্ন, কাউন্সিলের কাজকর্ম থেকে বাদ দেওয়ার চার মাসের মধ্যে আবার কীভাবে হটাৎ ফিরে এলেন দুজন? কাউন্সিলের আগের সিদ্ধান্তকে কার্যত, ভাঁওতা বলে দাবি তুলেছেন তারা।
প্রসঙ্গত, সরকারি হাসপাতালে দাদাগিরির অভিযোগে নাম জড়িয়েছিল অভীক এবং বীরূপাক্ষের। আরজি কর কাণ্ডের পর ঘটনাস্থলে এসএসকেএম-এর চিকিৎসক পড়ুয়া অভীকের উপস্থিতি নিয়েও উঠেছিল একাধিক অভিযোগ। ওই হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত না হয়েও তিনি সেখানে কী করছিলেন, সেই নিয়েই প্রশ্ন ওঠে। এরপর দুজনকেই সাসপেন্ড করেছিল স্বাস্থ্য ভবন।
শুধু তাই নয়, তাদের সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল সিবিআই। অভীক, বীরূপাক্ষের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয় রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। কিন্তু এবার সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করা হল।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।