১৯২৫ সালেই প্রথম বিধানচন্দ্র ভোটে দাঁটিয়েছিলেন ব্যারাকপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। তিনি কাকে হারিয়েছিলেন জানলে অবাক হতে হয়। হারিয়েছিলেন ‘দ্য গ্র্যান্ড ওল্ড ম্যান অফ বেঙ্গল’কে। যিনি বাঙালির কাছে রাষ্ট্রগুরু
অনিরুদ্ধ সরকার, প্রতিবেদক-- চিকিত্সক, স্বাধীনতা সংগ্রামী, রাজনীতিবিদ আবার মেল নার্সেরও কাজ করেছেন। কলকাতার রাস্তায় ট্যাক্সিও চালিয়েছেন।মৃত্যুর ৬২ বছর পরেও তিনি বাংলার ও ভারতবর্ষের রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক। তাঁর দেখানো পথে আজও হেঁটে চলেছে বাংলা। উত্তরপ্রদেশের গভর্নর হওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নেহেরুকে। ৬৫ বছর বয়সে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন ডাক্তার বিধান রায়। ১ জুলাই তাঁর জন্মদিন এবং মৃত্যুদিন। এই দিনটি সারা ভারতে 'চিকিৎসক দিবস' রূপে পালিত হয়।
ঠাকুমা আদর করে নাম রেখেছিল ভজন। আর ভাল নাম 'বিধান' দিয়েছিলেন কেশবচন্দ্র সেন। ৫ টাকা ২৫ পয়সা হাতে নিয়ে খালিপায়ে পাটনার বাঁকিপুর থেকে কলকাতা শহরে এসেছিল ছোট্ট বিধান। মুখ্যমন্ত্রী বিধান রায়ের তিরোধানের পর তাঁর ঘরে পাওয়া যায় ১১ টাকা ২৫ পয়সা। কুঁড়েঘর থেকে রাজপ্রাসাদ পর্যন্ত জীবনের সঞ্চয় ছিল মোট ৬ টাকা।
প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষের পর বাংলার মুখ্যমন্ত্রী হন ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায়। বাংলার দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র এই দায়িত্ব নিয়েছিলেন ১৯৪৮ এর ২৩ জানুয়ারি। নেতাজির জন্মদিনের দিন। নেতাজীর সঙ্গে ছিল বন্ধুর মত সম্পর্ক আর দুজনেই ছিলেন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের শিষ্য । ডাক্তার রায় যখন মুখ্যমন্ত্রী হলেন তখন ডাক্তারি থেকে তাঁর আয় কত ছিল জানেন? ৪২০০০ টাকা! সেই ডাক্তার রায় মুখ্যমন্ত্রী হয়ে নিজের মাইনে নিজেই ঠিক করলেন, কত জানেন? মাত্র ১৪০০ টাকা।
মোটা টাকার প্র্যাকটিস ছেড়ে তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসতে বসতেই হাওড়া-কলকাতার দেওয়ালে দেওয়ালে কুৎসিত ভাষায় লেখা হল – "বাংলার কুলনারী হও সাবধান, বাংলার মসনদে নলিনী-বিধান।" বিধান রায়ের সাথে সাথে বিধান রায়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং কংগ্রেস নেতা নলিনীরঞ্জন সরকারের নাম জুড়েও শুরু হয়েছিল কুৎসা।
কলকাতার নিন্দুক সমাজ বিধানচন্দ্র রায় সম্বন্ধে রটিয়েছিল হাজারো অপবাদ যেমন - ‘বড় ডাক্তার কিন্তু ‘মদ্যপ’, 'জেলে যেতে বিধানের খবু ভয়'। শুধু তাই না, রাজনৈতিক নিন্দুকরা তাঁর জামা অবধি ছিঁড়ে দিয়েছিল। কলকাতায় সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় তাঁর বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছিল এবং যে মানুষটি দেশের কাজে একের পর এক নিজের ব্যক্তিগত সম্পত্তি অবধি বন্ধক দিয়েছিলেন, বিক্রি করে দিয়েছিলেন তাঁকে ‘চোর’ বলা হয়েছিল। বিরোধী গোষ্ঠী একবার আওয়াজ তুলেছিল- 'বিধান রায় সরকারকে ঠকিয়েছেন'। ডাক্তার রায়ের ব্যক্তিজীবন সম্পর্কে এই কথাগুলি সবই যে গুজব ছিল সেবিষয়ে বিশদে লিখেছেন ডাক্তার রায়ের প্রথম জীবনীকার কে পি থমাস। তিনি লিখছেন, "ডা: রায় মদ্যপান তো দূরঅস্ত ধুমপান অবধি করতেন না।" তাহলেই বুঝুন!
১৯২৫ সালেই প্রথম বিধানচন্দ্র ভোটে দাঁটিয়েছিলেন ব্যারাকপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। তিনি কাকে হারিয়েছিলেন জানলে অবাক হতে হয়। হারিয়েছিলেন ‘দ্য গ্র্যান্ড ওল্ড ম্যান অফ বেঙ্গল’কে। যিনি বাঙালির কাছে রাষ্ট্রগুরু, অর্থাৎ সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যে মানুষটির নাম ব্রিটিশরা দিয়েছিলেন ‘সারেন্ডার-নট’।
বিধান রায়ের যে ডাক্তার হওয়ার খুব ইচ্ছে ছিল তেমনটা মোটেও বলা যায় না। শিবপুর ইঞ্জিনিয়ারিং এবং কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ফর্মের জন্য আবেদন করেছিলেন। ডাক্তারির ফর্মটা আগে আসায় ওইটাই আবেদন করে পূরণ করে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। শিবপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ফর্ম যখন এল ততক্ষণে ডাক্তারিতে ভর্তি হয়ে গেছেন। টাকা পয়সার ভীষণ টানাটানি, মাস্টারমশায়রা ছাত্রকে অবসর সময়ে ধনী রোগীদের বাড়িতে মেল নার্স হবার সুযোগ করে দিতেন। ডাক্তার হিসেবে প্র্যাকটিস এর শুরুতে রোজগার তেমন হচ্ছেনা দেখে পার্ট টাইম ট্যাক্সি চালাতেন। ইংল্যান্ড থেকে এমআরসিপি এবং এফআরসিএস উপাধি অর্জন করার পর কলকাতার ক্যাম্পবেল মেডিক্যাল স্কুল, এখনকার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ চিকিৎসক ও শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন ডা: রায়।
বিধানচন্দ্র রায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কিম্বা কলকাতা পুরসভার মেয়র যখনই যে পদে বসেছেন, সেখানেই তিনি তাঁর সেরাটা দিয়েছিলেন। আসলে যিনি 'ভালো' হন তিনি যে কোনো পদে নিজের ভালোটাই দেওয়ার চেষ্টা করেন। উপাচার্য থাকার সময়ে তিনি যেমন শিক্ষা বিল নিয়ে ভেবেছিলেন, তেমনই মেয়র থাকাকালীন কলকাতার জলনিকাশি ব্যবস্থা নিয়েও চিন্তা করেছিলেন। আর মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়, পশ্চিমবঙ্গের জন্য যা যা করেছেন তা বলে শেষ করা যায় না। সেকারণেই তিনি আজও তিনি কোনও ফলক, স্ট্যাচু, প্রচার, বিজ্ঞাপন ছাড়াও মানুষের মনে 'পশ্চিমবঙ্গের রূপকার'। ধরুন দুর্গাপুর-আসানসোল শিল্পাঞ্চল থেকে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ, হলদিয়া বন্দর কিম্বা দার্জিলিঙে দেশের প্রথম ‘পর্বতারোহণ শিক্ষাকেন্দ্র’ সবই তাঁর হাত দিয়েই প্রতিষ্ঠিত। শুধু তাই নয়, আজকের সল্টলেক, হরিণঘাটা দুগ্ধ প্রকল্প, ফারাক্কা ব্যারাজ থেকে রাষ্ট্রীয় পরিবহন সংস্থা সবকিছুতেই ছিল ডাক্তার রায়ের মাথা।
দিল্লিতে রাজ্য সরকারের অতিথিশালার জন্য জমিও কিন্তু তিনিই প্রথম আদায় করেন। দিল্লিতে গেলে তিনি হয় মহাত্মা গান্ধীর কাছে থাকতেন অথবা তাঁর এক চিকিৎসক বন্ধুর বাড়িতে উঠতেন। একবার কি হল ডাক্তার রায় বৈঠক করতে গেছেন দিল্লি। অনেক অফিসার হাজির। একসঙ্গে অতিরিক্ত লোকজন আসায় থাকার বেশ অসুবিধা হল ডাক্তার রায়ের, আর তখনই তাঁর মাথায় এল ‘বঙ্গভবন’ গড়ার কথা। বাংলাকে দেখে পরে অন্য রাজ্যও একই ভাবে ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। মজার ব্যাপার হল, সে দিন বিধানচন্দ্র যখন ‘বঙ্গভবন’ তৈরির কথা বলেছিলেন, তখন বিরোধী নেতারা প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছিলেন, "এ সব হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর আমোদ-প্রমোদের জন্য বানানো বাগানবাড়ি।"
পঞ্চাশের দশকে বিধানচন্দ্র যখন বক্তৃতা দিতেন, সাধারণ মানুষ তা তন্ময় হয়ে শুনত। সাধারণ মানুষ অবাক হত এটা শুনে যে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে নাম ধরে সম্বোধন করছেন। আর করবেন না-ই বা কেন! মহাত্মা গান্ধী, মতিলাল নেহেরু, জওহরলাল নেহরু, বল্লভভাই পটেল - কে না তাঁর চিকিৎসা-পরামর্শ নিতেন।”আমেরিকার রাষ্ট্রপতি কেনেডির সাথে এক সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎকারে কেনেডির রোগ ধরে দেওয়ায় অবাক কেনেডি ডাক্তার রায়কে জিজ্ঞেস করেছিলেন, "একজন রাজনীতিবিদ হয়ে আপনি একাজ করলেন কি করে? উত্তরে বিধান রায় বলেছিলেন- "Sir I am doctor by profession and a politician my passion."মহাত্মা গান্ধী তাই বিধান রায় প্রসঙ্গে বলতেন,-" Bidhan the shifty hand of India." ডাক্তার রায়ের বিশাল প্র্যাকটিসের কোনও মাপজোক আজও হয়নি। কলকাতার বাইরেও বার্মা থেকে বালুচিস্তান পর্যন্ত তাঁর ডাক্তারির দাপট ছিল। ভাবা যায়।
মুখ্যমন্ত্রী বিধান রায় বিধানসভায় অনেক টাকা খরচ করে একটা নতুন অফিস বানিয়েছিলেন।আর তাতে একটি সেগুন কাঠের রাজকীয় চেয়ার আনিয়েছিলেন। জ্যোতি বসু তখন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। তিনি এই খরচের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। জ্যোতি বসুর বিরোধীতার উত্তরে বিধান রায় বলেছিলেন "তুমি এতে প্রতিবাদ করছ কেন? তুমিই তো এই মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে একদিন বসবে।" তরুণ বিরোধী দলনেতা তখন লজ্জা পেয়ে চুপ করে গেছিলেন।
আরেকবার গণনাট্য সংঘ জমিদারিপ্রথা উৎখাত নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় নাটকের প্রদর্শনী করছিল। কংগ্রেস সরকার তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। বিধান রায়ের এতে সায় ছিলনা। এই বিবাদ শেষ অবধি বিধানসভা অবধি গড়ায়। বিধানসভা হলে বিরোধী দলনেতা জ্যোতি বসু বিধান রায়কে উদ্দেশ্য করে একদিন বলেন, "আপনি হিটলারের মত আচরণ করছেন"। এর উত্তরে বিধান রায় মৃদু হেসে বলেন "হ্যাঁ হিটলার স্তালিনের উত্তর দিচ্ছে।" যাঁরা তাঁর নিন্দায় সবসময় মুখর ছিলেন তাঁদের সম্বন্ধে ডাক্তার রায় জীবনসায়াহ্নে বলেছিলেন, “আমি যখন মরব তখন ওই লোকগুলোই বলবে, ‘লোকটা ভাল ছিল গো, আরও কিছু দিন বাঁচলে পারত’।”
বাংলার ইতিহাসের কঠিনতম সময়ে বিধানচন্দ্র রাইটার্সের লালবাড়ির দায়িত্বে নিযুক্ত হন। সাড়ে ১৪ বছর সেই দায়িত্ব পালন করেছিলেন নিষ্ঠার সঙ্গে। ডাক্তার রায়ের সেক্রেটারি সরোজ চক্রবর্তী একজায়গায় লিখছেন, "প্রথম দু’বছর তিনি ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়িয়েছিলেন। নিজের জমি বিক্রি করেছিলেন, নিজের শেয়ার বিক্রি করেছিলেন, এমনকী শৈলশহর শিলং এর প্রিয় বাড়িটাও বিক্রি করে দিয়েছিলেন।" এই ছিলেন ডাক্তার বিধান রায়।
ডাক্তার রায়ের প্রভাবে রাইটার্সের বড় বড় অফিসাররা নিজেদের অলস অভ্যাস বদলাতে বাধ্য হয়েছিলেন। ডাক্তার রায়ের আগে রাইটার্সের অফিসবাবুরা ১২টার আগে অফিসে হাজিরা দিতেন না। ডাক্তার রায় এই নিয়মের বদল আনেন। ডাক্তার রায়ের জীবনীকার থমাস এপ্রসঙ্গে লিখছেন, " ইংরেজ আমলে লর্ড কার্জন অফিসে এধরণের ডিসিপ্লিনই চেয়েছিলেন। কার্জনের আমলে ১১টায় অফিসে এসে বড় বড় অফিসাররা ১টায় লাঞ্চে বেরোতেন, অফিসে ফিরতেন ৩টে নাগাদ এবং সাড়ে ৪টে বাজলেই দপ্তরত্যাগ করতেন। এসব দেখে লর্ড কার্জন একটি লিখিত নির্দেশ দিয়েছিলেন, পদস্থ অফিসাররা কেরানিদের আগে যেন অফিস না ছাড়ে।" ডাক্তার রায়ের আমলে এই নিয়মই বলবৎ হয়েছিল।
বিধান রায় সাংবাদিকদের এড়িয়ে চলতেন। তিনি বলতেন, "আপনারা হলেন দুধারি তলোয়ার। আপনাদের সঙ্গে খুব বুঝে কথা বলা উচিত।" কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকাকালীন প্রথম সাংবাদিকতায় ডিপ্লোমা কোর্স চালুর উদ্যোগ নেন তিনি। সেদিন তিনি বলেছিলেন, "সাংবাদিকদের চিন্তার স্বাধীনতা থাকতে হবে। সেখানে যেন রাজনৈতিক বিবেচনা ও মতাদর্শ বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। সাংবাদিক যদি কাগজের বিক্রি বাড়ানোর জন্য লেখেন, তা হলে সাংবাদিকের স্বাধীনতা সেদিন সেখানেই শেষ হয়ে যায়।"
বিধান রায়ের প্রথম হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল ১৯৩০ সালে, তখন তিনি কংগ্রেসের কাজে আহমদাবাদ থেকে দিল্লির পথে যাচ্ছিলেন। তাঁর দ্বিতীয় হার্ট অ্যাটাক হয় তাঁর মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে কিন্তু কাজের মানুষ ডাক্তার রায় বিশ্রাম নিতে চান নি।
১৯৬২ এর ২৪ জুন হল তৃতীয় হার্ট অ্যাটাক। রাইটার্সে সেদিনই ছিল তাঁর শেষ দিন। নিমপীঠের এক সন্ন্যাসীকে সেদিন তিনি বলেছিলেন, “শরীর যেমন ঠেকছে কাল নাও আসতে পারি।’’
১ জুলাই। ডাক্তার রায়ের জন্মদিন। চিকিৎসা চলছে ডাক্তার রায়ের। আত্মীয়স্বজনরা এলেন তাঁকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে। ডাক্তার রায় এক ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে কাছে ডেকে বললেন – “আমি দীর্ঘ জীবন বেঁচেছি। জীবনের সব কাজ আমি সমাধা করেছি। আমার আর কিছু করার নেই।” এরপরই ধীর কন্ঠে বললেন – ‘‘আমার পা ঠান্ডা হয়ে আসছে।মনে হচ্ছে বেশিক্ষণ নয়।’’ ডাক্তাররা ছুটে এলেন। বিধান রায়ের নাকে নল পরানো হল। ইঞ্জেকশন দেওয়া হল। ডাক্তারদের ছোটাছুটি চলতে লাগল। ডাক্তারদের ছোটাছুটির মাঝে স্তব্ধ হয়ে গেলেন ডাক্তার রায়। চলে গেলেন পশ্চিমবঙ্গের রূপকার মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার বিধান রায়।
দেহাবসানের কয়েক বছর আগে কেওড়াতলা শ্মশানের বৈদ্যুতিক চুল্লির সূচনা করেছিলেন ডাক্তার রায়। সেদিন তিনি বলেছিলেন, “ওহে আমাকে এই ইলেকট্রিক চুল্লিতেই পোড়াবে।” ২রা জুলাই ডাক্তার রায়ের সেই ইচ্ছা পূরণ করা হয়েছিল।
তথ্যঋণ : ১|ডঃ বি সি রায়, কে পি থমাস। ২|ডঃ বি সি রায় অ্যান্ড আদার চিফ মিনিস্টারস, সরোজ চক্রবর্তী। ৩|একটি পেরেকের কাহিনি- সাগরময় ঘোষ ৪| ডা: বিধান চন্দ্র রায় জীবন ও সময়কাল- ডা: নীতিশ সেনগুপ্ত ৫| ডা: বিধান চন্দ্র রায়- অশোক কুমার কুণ্ডু।
আরও পড়ুন--
কল্যাণী শহরের নামের আড়ালে সত্যিই কি লুকিয়ে বিধান রায়ের প্রণয়কথা? ফিরে দেখা ইতিহাস
Doctors Day: আধুনিক বাংলার জনক বিধানচন্দ্র রায়, তাঁর তৈরি করে যাওয়া উন্নয়ন আজও বাঙালিকে অক্সিজেন জুগিয়ে চলেছে
কেন ১ জুলাই চিকিৎসক দিবস পালিত হয়, জেনে নিন এই দিনের ইতিহাস সম্পর্কে