Mango: কার্বাইডে পাকানো আর গাছে পাকা আমের পার্থক্য কী? চিনবেন কীভাবে?
গ্রীষ্মকাল মানেই আম, জাম, লিচু, কাঁঠালের সমাহার। কিন্তু ফল থেকে অনেক সময়ই বিপদ ঘনিয়ে আসে। বাজারে যে ফলগুলি বিক্রি হয়, সবই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। গাছ পাকা ফল দেখে কেনাই ভালো।
যাঁরা অভিজ্ঞ ক্রেতা, তাঁরা গাছে পাকানো আম আর কার্বাইডে পাকানো আম দেখেই চিনতে পারেন। কিন্তু অনভিজ্ঞদের পক্ষে পার্থক্য বোঝা কঠিন। তাঁদের সহজেই ঠকাতে পারে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
গন্ধের মাধ্যমে সহজেই আলাদা করা যায় গাছে পাকানো আর কার্বাইডে পাকা আম
যে আম প্রাকৃতিকভাবে গাছেই পাকে, সেই আমে মিষ্টি গন্ধ থাকে। কিন্তু কার্বাইডে পাকানো আমে ঝাঁঝালো গন্ধ থাকে। এর ফলে সহজেই পার্থক্য ধরা যায়।
রং দেখেও গাছে পাকা আম আর কার্বাইড দিয়ে পাকানো আমের পার্থক্য ধরা যায়
যে আম গাছে পাকে, সেই আমে সাধারণত রংয়ের মিশ্রণ দেখা যায়। লাল-হলুদ, সবুজ-হলুদ রংয়ের হয় এই আমগুলি। অনেক আম আবার একই রঙের হয়। কিন্তু কৃত্রিমভাবে পাকানো আমে রংয়ের ছোপ দেখা যায়।
জলে ফেলে দিয়েও গাছে পাকা আম আর কার্বাইডে পাকানো আমের পার্থক্য ধরা যায়
কার্বাইডে পাকানো আম জলে ফেলে দিলেও ভেসে থাকে। কিন্তু গাছে পাকা আম টুপ করে ডুবে যায়। এর ফলে সহজেই পার্থক্য ধরা যায়।
হাত দিয়ে ধরেও গাছে পাকানো আমের সঙ্গে কার্বাইডে পাকানো আমের পার্থক্য বোঝা যায়
যে আমগুলি গাছে পাকানো হয়, সেগুলি নরম থাকে। কিন্তু কৃত্রিমভাবে পাকানো আম শক্ত হয়। এ থেকেও পার্থক্য বোঝা যায়।
প্রতি গ্রীষ্মে বাজারে যে আম বিক্রি হয়, সেগুলির বেশিরভাগই কার্বাইডে পাকানো
মালদার এক আম উৎপাদনকারী জানিয়েছেন, গাছে আম পাকতে দিলে পাখি, বানর খেয়ে ফেলে। তাছাড়া গাছে পাকা আম বেশিদিন ভালো থাকে না। এই কারণে ব্যবসায়িক স্বার্থে কার্বাইড দিয়েই আম পাকাতে হয়।
কার্বাউড দিয়ে পাকানো আম খেলে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে
কার্বাইড দিয়ে পাকানো আম খেলে আলসার, চোখের সমস্যা, বমি, ডায়ারিয়া, অ্যাসিডিটির মতো নানা রোগ হতে পারে।
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে কার্বাইড দিয়ে পাকানো আম
আম পাকানোর ক্ষেত্রে কার্বাইডের ব্যবহার নিষিদ্ধ। কিন্তু তা সত্ত্বেও উৎপাদনকারীরা কার্বাইড ব্যবহার করছেন। সেই আমই বাজারে বিক্রি হচ্ছে। ফলে বহু মানুষের শারীরিক সমস্যার আশঙ্কা থাকছে।